কাবুল থেকে দূতাবাস কর্মী ফেরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে দূতাবাস কর্মীদের ফেরানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে। তবে দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হবে না। খুব সামান্য কর্মীকে রেখে কাজ চালানো হবে। তাদের নিরাপত্তার জন্য কিছু সেনা থাকবে।
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ‘কার্যকরী’ রাষ্ট্রদূত রস উইলসন জানিয়েছেন, ‘সহিংসতা বাড়ছে। সঙ্গে এখানে ঝুঁকিও বেড়ে গেছে। তাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে দূতাবাস কোনো পরিষেবা কম করছে না। আফগানিস্তানকে সব ধরনের সাহায্য করা হবে।’
বিজ্ঞাপন
আফগানিস্তানে ন্যাটো জোট ও মার্কিন বাহিনীর প্রধান জেনারেল অস্টিন মিলার দুই দিন আগে জানান, ‘মার্কিন সেনারা আফগানিস্তানে ক্লোসিং অপরেশন শুরু করেছে। এবার আফগান সেনাকেই তাদের দায়িত্ব নিতে হবে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন চলতি মাসের শুরুর দিকে ঘোষণা দেন, আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে। আর আগামী ১ মে থেকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে।
বিজ্ঞাপন
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর (৯/১১) যুক্তরাষ্ট্রে জঙ্গি হামলা হয়। সেই হামলার জেরে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযানে যায় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের দীর্ঘতম এই যুদ্ধের ২০ বছর পূর্তির আগেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আমলে তালেবানের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে ১ মে’র আগে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা। তবে মিলার জানিয়েছেন, সেই প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। শুরু হয়ে গেছে দূতাবাস কর্মী দেশে ফেরানোও।
তবে আরেক মার্কিন জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি অবশ্য জানিয়েছেন, ‘আফগানিস্তানে ছোট আকারে দূতাবাস থাকবে। সেখানে সামান্য কয়েকজন সেনা থাকবেন দূতাবাসের সুরক্ষার জন্য।’
তালেবান-সরকার চুক্তি হয়নি
তালেবানের সঙ্গে আফগান সরকারের দীর্ঘ আলোচনা হলেও কোনো চুক্তি হয়নি। আপাতত আলোচনা বন্ধ। আগামী মাসে তা আবার শুরু হবে। তাই আশঙ্কা করা হচ্ছে, মার্কিন ও ন্যাটো সেনা চলে গেলে আফগানিস্তানে আবার গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
মার্কিন দূত জানিয়েছেন, মানবাধিকার ভঙ্গ হলে আফগানিস্তানে মার্কিন সাহায্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর তালেবান যদি জোর করে সরকার দখল করে, তা হলে তাদেরও তার ফল পেতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তারা চাপের মুখে পড়বে। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এএস