কেজরিওয়ালের ক্ষমতা খর্ব, দিল্লিতে জিএনসিটিডি আইন কার্যকর

জাতীয় রাজধানী অঞ্চল দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের ক্ষমতা খর্ব করলো নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্র সরকার। মঙ্গলবার থেকে ‘দ্য গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরি অব দিল্লি (সংশোধিত)’ বা জিএনসিটিডি আইনটি বলবৎ হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এতে করে দিল্লির নির্বাচিত আম আদমি পার্টির সরকারের তুলনায় অতিরিক্ত ক্ষমতা ভোগ করবেন কেন্দ্র মনোনীত উপরাজ্যপাল অনিল বৈজল। কারণ, এখন থেকে সিদ্ধান্ত নিতে হলে তার পরামর্শ নিতে হবে দিল্লির সরকারকে।

গত ২২ মার্চ লোকসভা এবং ২৪ মার্চ রাজ্যসভায় জিএনসিটিডি বিলটি পাস হয়েছিল। ওই সময় আম আদমি পার্টি ও কংগ্রেস ছাড়াও ভারতের একাধিক বিরোধী দল বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকারের উত্থাপিত এই বিলের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় ওয়াকআউট করে।

তবে ভারতীয় পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতার মধ্যে গত ২৮ মার্চ ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সেই বিলে স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হয়। 

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচিত সরকারের তুলনায় উপরাজ্যপালের হাতে অধিক ক্ষমতা তুলে দেওয়ার এই প্রচেষ্টা দিল্লির আম জনতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সমতুল্য। এর মাধ্যমে কার্যত দিল্লির ভোটারদের সঙ্গে বঞ্চনা করা হলো।

অনেকের মতে, ভারতের রাজধানীতে করোনার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার জন্যই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সঙ্গে আম আদমি পার্টির নেতা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের টানাপোড়েনের কথা সুবিদিত।

এএস