পাকিস্তানের করাচিতে একটি হাসপাতালে খোলা হয়েছিল মায়ের বুকের দুধের একটি ব্যাংক। অপূর্ণ শিশুদের এই ব্যাংক থেকে দুধ সরবরাহ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। চলতি বছরের জুনে দুধ ব্যাংকটি কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু এটি আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ইসলামিক ব্যক্তিত্বরা এটিকে ‘অনৈসলামিক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

অবশ্য ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা গত বছরের ডিসেম্বরে এটি চালুর ক্ষেত্রে নিজেদের সম্মতি দিয়েছিলেন। কিন্তু জুনে যখন দুধ ব্যাংকটির কার্যক্রম শুরু হয় তখনই তারা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেন। এরপরই এটি বন্ধ হয়ে যায়।

তবে চিকিৎসকরা এখন এটি আবার চালুর জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাদের দাবি একটি অপূর্ণ শিশুকে বাঁচানোর জন্য যেসব উপায় রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী হলো দুধ খাওয়ানো।

জামাল রেজা নামের এক চিকিৎসক বলেছেন, “সাধারণ মানুষের ধারণা নেই এটি কী। এই দুধ শুধুমাত্র অপূর্ণ শিশুদের দেওয়া হবে।”

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে জামিয়া দারুল উলুম দুধ ব্যাংকটি খোলার সম্মতি দিয়ে ফতোয়া দেয়। এরপর সরকারের জাতীয় ইসলামী আদর্শ পরিষদ এই ফতোয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তারা জানায়, এরমাধ্যমে আত্মীয়তা নিয়ে ইসলামে যে বিধান রয়েছে সেটি ভঙ্গ হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।

ইসলাম বিধান রয়েছে, একই নারীর দুধ পান করা নারী ও পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না।

দুধ ব্যাংক থেকে দুধ পান করালে ভবিষ্যতে এসব শিশুদের মধ্যে যদি কারও একেঅপরের সঙ্গে বিয়ে হয় তাহলে সেটি অবৈধ হবে।

পাকিস্তানের এক ধর্মীয় ব্যক্তি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, “যে শিশুকে দুধ ব্যাংক থেকে দুধ পান করানো হবে তার পরিবারকে অবশ্যই জানাতে হবে যে সে কার দুধ পান করছে। যেন ভবিষ্যতে বিয়ের সময় কোনো ধরনের সমস্যা না হয়।”

সূত্র: এএফপি

এমটিআই