মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ফের হামলা ও অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী। সোমবার (১০ মে) পবিত্র রমজান মাসের ২৮তম দিনে মসজিদে ইবাদতরত ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালায় তারা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার সময় রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস ও শব্দ বোমা নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া হামলার সময় আল-আকসা মসজিদ এবং এর কম্পাউন্ডসহ আশপাশের এলাকার ওপর দিয়ে টহল দেয় ইসরায়েলি হেলিকপ্টার।

ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, ইসরায়েলিদের হামলায় এখন পর্যন্ত বহু সংখ্যক ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া মসজিদ ও এর আশপাশের সহিংসতাপূর্ণ এলাকায় তাদের মেডিকেল টিমকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আলজাজিরা জানায়, আল-আকসা মসজিদের ‘মাগরিবি গেট’ দিয়ে ভেতরে ঢুকে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী। সেসময় এই গেটের বাইরেই ‘জেরুজালেম দিবস’ উপলক্ষে হাজার হাজার ইহুদী বসতি স্থাপনকারী সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম দখলের বর্ষপূর্তি পালন করতেই ইহুদীরা ‘জেরুজালেম দিবস’ পালন করে থাকে।

ওয়াকফ ইসলামিক অ্যাফেয়ার্সের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, হামলার সময় ফিলিস্তিনিরা সেখানে ইবাদতে মগ্ন ছিলেন এবং ইসরায়েলি বাহিনীর ছোঁড়া রাবার-আচ্ছাদিত ধাতব গুলিতে বেশিরভাগ ফিলিস্তিনি আহত হন।

পরে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট আবারও জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কয়েকশত ফিলিস্তিনি নাগরিক আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে কমপক্ষে ৭০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর ছোঁড়া টিয়ার গ্যাসের তীব্র ধোঁয়ায় ছয় সাংবাদিকও আহত হয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে আল-কিবলি মসজিদের ভেতরে ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি ও বিকট শব্দ উৎপন্নকারী স্টান গ্রেনেড ছুঁড়তে দেখা যায়। এছাড়া আল-আকসা মসজিদের ভেতরে ফিলিস্তিনি নারী ইবাদতকারীদের ওপরও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে দেখা যায় ইসরায়েলি বাহিনীকে।

সূত্র: আলজাজিরা

টিএম/জেএস