বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য আসামের একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে একসঙ্গে ১৮টি বন্য এশীয় হাতির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার সরকারি কর্মকর্তারা। তারা ধারণা করছেন, বজ্রপাতের কারণে এসব হাতির মৃত্যু হতে পারে। 

জয়ন্ত গোস্বামী নামে আসামের এক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা মার্কিন বার্তা সংস্থা এপিকে জানিয়েছেন, কোন্ডালি রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে উদ্ধার হওয়া মৃত হাতির মধ্যে চারটি বাচ্চা হাতিও রয়েছে। বনাঞ্চলটি আসামের রাজধানী দিসপুর থেকে ১৬০ কিমি দূরে অবস্থিত।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বনাঞ্চলটির প্রহরীরা গতকাল বৃহস্পতিবার ১৪টি প্রাপ্তবয়স্ক হাতির মরদেহ পান। কোন্ডালি রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকার পাদদেশে পরে আরও ৪টি হাতির মরদেহ মেলে বলে জানান স্থানীয় বন্যপ্রাণী অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এম কে ইয়াদাভা। 

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা ও বিধায়ক জিতু গোস্বামী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, বজ্রপাতে হাতিগুলোর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে তারা। তবে মৃত হাতিগুলোর ছবি দেখে প্রখ্যাত বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ অ্যাক্টিভিস্ট সৌমদ্বীপ বলছেন, বজ্রপাতে হাতিগুলো মরেনি।

সৌমদ্বীপ দত্ত দাবি করছেন, ‘সম্ভবত বিষপ্রয়োগে হাতিগুলোকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের ফলাফল পাওয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’ বন বিভাগ শিগগিরই মৃত হাতিগুলোর ময়নাতদন্ত করবে বলে এ সময় আশা প্রকাশ করেন তিনি।   

আসামের রাজ্য বন ও পরিবেশ বিষয়ক মন্ত্রী পরিমল শুক্লাবৈদ্য একসঙ্গে ১৮টি হাতির মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য সরকার উচ্চ-পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন। একদল পশু চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের নিয়ে তিনি শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।

ভারতে প্রায় ৩০ হাজার হাতি রয়েছে। বন্য এশীয় হাতির প্রায় ৬০ শতাংশের আবাসস্থলও ভারত। এর মধ্যে শুধু আসামেই আনুমানিক ৬ হাজার কিংবা তার বেশি বন্য এশীয় হাতি রয়েছে। খাবারের খোঁজে প্রায়ই এসব হাতি বন ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। 

এএস