দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসানে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর প্রথম দফায় ত্রাণবাহী কয়েকটি ট্রাক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে। ইসরায়েল এবং হামাসের মাঝে রোববার সকালের দিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পরপরই ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় পৌঁছায়।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়-বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর রোববার মানবিক সহায়তা বহনকারী ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশ করেছে।

জাতিসংঘের দাতব্য কর্মকর্তা ও ফিলিস্তিনে নিযুক্ত ওসিএইচএর অন্তর্বর্তী প্রধান জোনাথন হুইটাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি  কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিট পরই ত্রাণবাহী প্রথম ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গাজা উপত্যকাজুড়ে মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অংশীদাররা ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ত্রাণবাহী ট্রাকের বহর গাজার কোথায় প্রবেশ করেছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানায়নি জাতিসংঘ। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিসরের একটি সূত্র বলেছে, গাজার মধ্যাঞ্চলীয় কেরাম শালোম এবং আল-ওগায় অন্তত ১৯৭টি ত্রাণবাহী ট্রাক ও জ্বালানিবাহী পাঁচটি ট্রাক প্রবেশ করেছে।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১১টা থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের ঘোষণা দেন। তার ঘোষণার পরপরই বাস্ত্যচ্যুত হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছেন।

যদিও ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় গাজা উপত্যকা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অসংখ্য ফিলিস্তিনির বাড়িঘরের কোনও অস্তিত্বই নেই। তারপরও নিজ এলাকায় মরিয়া হয়ে ফিরতে শুরু করেছেন ফিলিস্তিনিরা।

সূত্র: এএফপি।

এসএস