মার্কো রুবিও

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য মার্কো রুবিও। গতকাল সোমবার এ পদে শপথগ্রহণের মাধ্যমে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের উত্তরসূরি হলেন তিনি।

রুবিও রিপাবলিকান পার্টির ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য শাখার জ্যেষ্ঠ নেতা। সিনেটেও সেই রাজ্যেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। গত কয়েক বছর সিনেটের ফরেইন রিলেশন কমিটির সদস্য ছিলেন রুবিও। সে সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংঘাত এবং সেসব সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের করণীয় সম্পর্কে সিনেট সভায় বক্তব্যও দিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রশাসনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ক্ষমতার বিন্যাস অনুসারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবস্থান দেশটির প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের পরেই। এ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মীর সংখ্যা ৭০ হাজারেরও বেশি।

রুবিও রিপাবলিকান পার্টির কট্টরপন্থি নেতাদের মধ্যে অন্যতম। সিনেটে দেওয়া বহু বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ইরান এবং চীন— উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক এবং উভয় রাষ্ট্রের পতি ওয়াশিংটনের একই নীতি অবলম্বন করা উচিত।

সোমবার শপথ গ্রহণের পর এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, “এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ ৩ টি প্রশ্নের মীমাংসার ওপর নির্ভর করবে— (১) এটি কি আমাদের আরও দৃঢ়/ শক্তিশালী করবে? (২) এটি কি আমাদের অধিকতর নিরাপদ করবে? এবং (৩) এই সিদ্ধান্তের ফলে কি আমরা সমৃদ্ধ হবো?”

“যদি কোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে এসব প্রশ্নের উত্তর নেতিবাচক হয়, তবে তা গ্রহণ করা হবে না।”

সূত্র : বিবিসি

এসএমডব্লিউ