মানবপাচার ঠেকাতে বিমানবন্দরে বাড়তি নজরদারি পাকিস্তানের
ফাইল ছবি
ইউরোপে মানবপাচার ঠেকাতে তরুণ যাত্রীদের ওপর বিমানবন্দরে নজরদারি বাড়াবে পাকিস্তান। সরকারের দুই কর্মকর্তা গত সপ্তাহে বার্তাসংস্থা ডিপিএকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
সম্প্রতি আফ্রিকার দেশ লিবিয়া ও মরক্কো থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে কয়েক ডজন পাকিস্তানি নাগরিক নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ, গত সপ্তাহে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৪০ পাকিস্তানি নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার।
ওই দুই কর্মকর্তা জানান, মানবপাচারের ক্ষেত্রে যে দেশগুলোকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেই দেশগুলোর ফ্লাইটে উঠার আগে ১৫ থেকে ৪০ বছরের যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, পাকিস্তানের ইমিগ্রেশনের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি এরইমধ্যে বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড অফিসারদেরকে সেইসব যাত্রীদের প্রোফাইল তৈরির নির্দেশনা দিয়েছে যারা মানবপাচারের হটস্পট হিসেবে পরিচিত দেশগুলোতে যাতায়াত করছেন।
উল্লেখ্য, মানবপাচারকারীদের প্রলোভনে পড়ে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের পৌঁছানোর চেষ্টা করে থাকেন পাকিস্তানের অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী তরুণ।
আরও পড়ুন
মূলত পাকিস্তান থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে আফ্রিকা এবং সেখান থেকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের উদ্দেশে তারা যাত্রার চেষ্টা করে থাকেন।
লিবিয়া, মিসর, মরক্কো, সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, তুরস্কসহ এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কিছু দেশকে ট্রানজিট রুট হিসেব মানবপাচারকারীরা ব্যবহার করে থাকেন। ইনফোমাইগ্রেন্টস।
টিএম