মুসলিম দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু ভারতে
মুসলিম দেশ থেকে আসা সংখ্যালঘু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত। এই মর্মে শুক্রবার (২৮ মে) একটি নির্দেশিকা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়- হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও জৈন সম্প্রদায়ের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মোদি সরকার। এই মর্মে গুজরাট, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের মোট ১৩টি জেলায় বসবাসরত অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পেতে আবেদন জানানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় তাদের দেশের নাগরিক হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, মুসলিম দেশগুলো থেকে যাওয়া সংখ্যালঘুদের জন্য তৈরি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এখনও বলবৎ করা হয়নি। ফলে পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। এখনই কার্যকর হচ্ছে না সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ। মোদি সরকারের আশ্বাস স্বত্বেও গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই আইন কার্যকর করার সময়সীমা আরও বেড়েছে। চলতি বছরে এই আইন কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময়সীমা আরও তিন মাস বাড়িয়ে দেয় সংসদীয় কমিটি। তাদের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৯ এপ্রিল থেকে ৯ জুলাইয়ের মধ্যে কার্যকর করতে হবে এই নাগরিকত্ব আইন। ফলে অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া কার্যত থেমে গেছে বলেই মত অনেকের।
উল্লেখ্য, নাগরিকপঞ্জি আর সিএএ নিয়ে অনেকদিন ধরেই সরব বুদ্ধিজীবী মহল। প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বেঙ্গালুরু পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহ। বলিউডে যেমন অনুরাগ কাশ্যপ, স্বরা ভাস্কররা আওয়াজ তুলেছেন, তেমনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, সোহাগ সেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, ঋদ্ধি সেন পথে নেমে প্রতিবাদও জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে তুমুল প্রতিবাদ হয়েছে দেশজুড়ে।
গেরুয়া শিবিরের পাল্টা বক্তব্য, মুসলিম দেশগুলোতে নির্যাতনের শিকার হিন্দু, শিখ ও অন্য সংখ্যালঘুদের বাঁচাতেই এই আইন আনা হয়েছে। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন, কেড়ে নেওয়ার নয়। সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক বাঁচাতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়টির বিরোধিতা করছে।
বিজ্ঞাপন
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
জেডএস