আহমেদের পুড়ে যাওয়া হুইল চেয়ার -ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া

দখলদার ইসরায়েলের হামলায় মা ও বোনসহ নিহত হয়েছেন গাজার ১২ বছর বয়সী প্রতিবন্ধি শিশু আহমেদ আল-রউস। ছোট এ শিশুটি জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধি ছিল। দখলদারদের হামলা থেকে বাঁচতে পরিবারের সঙ্গে খান ইউনিসের একটি তাঁবুতে থাকছিল সে। সেখানেই মিসাইল হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ হামলায় আহমেদ তার মা, তার বোন ও আরও আটজনের মৃত্যু হয়।

স্থানীয় এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, হামলার সময় আহমদে হুইল চেয়ারে বসা ছিল। আর সে ওই হুইল চেয়ারে বসা অবস্থাতেই পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়। আগুনে তার হাড়গোড়ও গলে যায়।

আলজাজিরার প্রকাশিত ভিডিওতে এ ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “ইসরায়েলিরা তাকে হুইল চেয়ারে বসা অবস্থায় হত্যা করেছে। কারণ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সে একজন প্রতিবন্ধি ছিল? সে ইসরায়েলিদের কী করেছিল।” ক্ষুব্ধ কণ্ঠে ওই ব্যক্তি আরও বলেন, “দেখুন! দেখুন এটি কোন ধরনের গণহত্যা। সে ছিল শক্তিহীন একজন প্রতিবন্ধি শিশু। সে কোথাও যেতে পারত না। আর তাকে তার হুইল চেয়ারে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। যখন আমরা তাকে টেনে তুলছিলাম তখন তার হাড়গুলোও গলে যাচ্ছিল।” হুইল চেয়ারটি দেখিয়ে তিনি বলেন, “এটি হলো এই শিশুর হুইল চেয়ার। ১২ বছর বয়সী শিশুর।”

ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে নিরীহ অবুঝ এ শিশুগুলোও।

অপর এক নারী বলেন, হামলার সময় তারা তাঁবুতে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় মিসাইল ছোড়া হয়। এতে তাঁবুতে আগুন ধরে যায়। এ হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের সবাই নারী ও শিশু। তিনি প্রশ্ন করেন, “এই প্রতিবন্ধি শিশু কী ইসরায়েলিদের ওপর মিসাইল ছুড়ত? তাদের জন্য হুমকি হতো? বা এক বছরের শিশুটি। যে মারা গেছে। এখানে নিহত সবাই নারী-শিশু।”

সূত্র: আলজাজিরা

এমটিআই