ট্যাক্স ছাড় ও বাজেট হ্রাস সংক্রান্ত ট্রাম্পের ‘বিগ, বিউটিফুল’ বিল যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার উচ্চকক্ষ সিনেটে পাস হওয়ার পর আবার নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভে ফিরে এসেছে। এখানে পাস হলেই এটি আইনে পরিণত হবে।

তবে সিনেটে বিলটি পাস হতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির কয়েকজন সিনেটরই এটির বিপক্ষে ভোট দেন। এতে করে পক্ষে ৫০ এবং বিপক্ষে ৫০টি ভোট পড়ে। পরবর্তীতে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স নিজের টাই-ব্রেকিং ভোটাধিকার প্রয়োগ করে সিনেটে এটি পাস করান।

তবে এই বিলটি নিয়ে এখনো ঝামেলা রয়ে গেছে। হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভে যেসব রিপাবলিকান রয়েছে তারাই বিলটি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করছেন।

ঝামেলার মূল বিষয় হলো এই বিলটি পাস হলে ট্রাম্প অনেক বিষয়ে স্থায়ীভাবে কর ছাড় দেবেন। এতে করে সরকারের বাজেট ঘাটতি তৈরি হবে। আর এ ঘাটতিটা কত বড় হবে সেটি নিয়েই এখন ভাবছেন তারা।

যেহেতু কর ছাড় দিলে সরকারের আয় কমবে তাই সরকার তাদের ব্যয়ও কমাবে। এর অংশ হিসেবে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বরাদ্দ চিকিৎসাখাত ও অন্যান্য সামাজিক পোগ্রামের ব্যয় কমাবে ট্রাম্প প্রশাসন। এমনটি করলে সাধারণ মানুষ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন সেটি নিয়েও ভাবছেন তারা।

তবে ট্রাম্প রিপাবলিকানদের চাপ দিয়েছেন আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে যেন সব ঠিকঠাক করে তার কাছে বিলটি পাঠানো হয়। এরপর স্বাক্ষরের মাধ্যমে এটি আইনে পরিণত করবেন তিনি।

কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস (সিবিও) জানিয়েছে, এ বিলটি পাস হলে আগামী ১০ বছরে মার্কিন সরকারের বাজেট ঘাটতিতে ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার যুক্ত হতে পারে। এই ঘাটতি বাড়ার বিষয়টি নিয়েই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার সাবেক আস্থাভাজন বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। যা এখন প্রকাশ্যে চলছে।

সূত্র: বিবিসি

এমটিআই