টানা ১২ বছর শাসন ক্ষমতায় থাকার পর নেতানিয়াহুর বিদায় মোটামুটি নিশ্চিত

ইসরায়েলে গঠিত হচ্ছে নতুন সরকার। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তার সরকারের বিদায় মোটামুটি নিশ্চিত। সব কিছু ঠিক থাকলে রোববার (১৩ জুন) নতুন সরকার গঠনের অনুমোদন দিতে পারে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট। আর এর মাধ্যমে শেষ হতে যাচ্ছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসন।

নেতানিয়াহুকে সরাতে বিরোধী দলগুলোর অভূতপূর্ব জোট গঠনে ঐক্যমতের পর সম্ভাব্য এই সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। ইসরায়েলি পার্লামেন্টে নেতানিয়াহুর দল ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে আসনের পার্থক্য মাত্র একটি। অর্থাৎ জোট গঠনের মাধ্যমে এক আসনে এগিয়ে নেতানিয়াহুকে সরিয়ে নতুন সরকার দায়িত্ব নিতে চলেছে দেশটিতে।

এর মাধ্যমে মূলত ইহুদী এই রাষ্ট্রটিতে টানা দুই বছরের রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হতে যাচ্ছে। কট্টরপন্থি জাতীয়তাবাদী নেতা নাফতালি বেনেট ইসরায়েলের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন। তবে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি শেষ সময় পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

এর আগে নেতানিয়াহুকে সরাতে বিরোধী দলগুলোর গঠন করা জোট সরকার অনুমোদন নিয়ে রোববার পার্লামেন্টে ভোটাভুটির দিন নির্ধারণ করা হয়। আর এ ভোটের জন্য ইসরায়েলি পার্লামেন্টের স্পিকার ১৩ জুন বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের ঘোষণাও দিয়েছিলেন।

এরপরই গত মঙ্গলবার এক টুইটে ইয়াশ আতিদ পার্টির নেতা ইয়ার লাপিদ টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জানান, ‘ইসরায়েল এবং এর নাগরিকদের ভালোর জন্য ঐক্যমতের সরকার আসছে।’

অবশ্য নতুন সরকার যেন পার্লামেন্টের অনুমোদন না পায়, সে জন্য সব রকম ভাবে চেষ্টা করছে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি। কিন্তু নতুন জোটের সদস্যদের নিজেদের দলে টানার চেষ্টা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে।

এরপরই নতুন জোট সরকার গঠন নিশ্চিত জেনে নেতানিয়াহু বলেছেন, পার্লামেন্টে তিনি বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন। একইসঙ্গে সম্ভাব্য নতুন জোট সরকারকে ‘বিপজ্জনক’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

২০০৯ সাল থেকে টানা ১২ বছর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। কিন্তু গত কয়েক বছরে নানা কারণে ইসরায়েলিদের কাছে তার জনপ্রিয়তা ব্যাপক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। ইসরায়েলে গত দুই বছরে মোট চারটি পার্লামেন্ট নির্বাচনে হয়েছে। কিন্তু সরকার গঠনের মত যথেষ্ট আসন কোনো দলই পায়নি।

তবে রোববার মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যাওয়া জোট সরকার পার্লামেন্টের অনুমোদন পেলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে মুক্তি পাবে দেশটি।

সূত্র: বিবিসি

টিএম