দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের একটি নৌযানকে তাড়া করতে গিয়ে চীনের একটি যুদ্ধজাহাজে ধাক্কা দিয়েছে চীনেরই কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ। দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত স্কারবরো শোল এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

এই ঘটনায় যুদ্ধজাহাজটি “চলাচলের অযোগ্য” হয়ে পড়ে বলে জানা গেছে। সোমবার (১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

ফিলিপাইনের কোস্টগার্ডের কমোডর জে তারিয়েলা জানান, বিতর্কিত স্কারবোরো শোলে যখন ফিলিপাইনের কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা জেলেদের কাছে ত্রাণ বিতরণ করছিলেন, তখন চীনা কোস্টগার্ড “ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল” অবলম্বন করে, যার ফলে চীনা যুদ্ধজাহাজের সামনের ডেকে “উল্লেখযোগ্য ক্ষতি” হয়।

চীন সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এবং ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে চীনা পানিসীমায় “জোরপূর্বক অনুপ্রবেশের” অভিযোগ এনেছে। তবে তারা সংঘর্ষের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

মূলত দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে চীন, ফিলিপাইনসহ কয়েকটি দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিং ও ম্যানিলার মধ্যে এ উত্তেজনা বেড়েছে। উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টির অভিযোগ করে আসছে। কিছু ঘটনায় এমনকি তলোয়ার, বর্শা ও ছুরির মতো অস্ত্র ব্যবহারের কথাও জানা গেছে।

ত্রিভুজাকার প্রবালপ্রাচীর ও পাথুরে এলাকার সমষ্টি স্কারবরো শোল ২০১২ সালে চীনের দখলে যাওয়ার পর থেকেই দুই দেশের বিরোধের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে আছে।

ম্যানিলার প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, চীনা কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ ফিলিপাইনের কোস্টগার্ডের জাহাজকে ধাওয়া করে। এরপর হঠাৎ মোড় নিতে গিয়ে জাহাজটি জোরে ধাক্কা খায় কাছাকাছি থাকা আরও বড় আকারের একটি চীনা যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে।

তারিয়েলা বলেন, ধাক্কা দেওয়ার পর যুদ্ধজাহাজটি “চলাচলের অযোগ্য” হয়ে পড়ে। তবে এতে কেউ আহত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, ফিলিপাইন কোস্টগার্ড সবসময় চীনকে আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা বারবার সতর্ক করেছি, এ ধরনের বেপরোয়া আচরণ শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।”

অন্যদিকে, চীনা কোস্টগার্ড জানিয়েছে, তারা “আইন অনুযায়ী” কাজ করেছে এবং ফিলিপাইনের জাহাজগুলোকে সরিয়ে দিতে “সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা” নিয়েছে।

টিএম