যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার (বামে) ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ।

ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কাছে গণবিধ্বংসী অস্ত্র আছে। এমন মিথ্যা অজুহাতে ২০০৩ সালে ইরাকে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলায় সরাসরি যুক্তরাজ্যকে জড়ান দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।

মিথ্যা তথ্যের ওপর শুরু হওয়া ওই বর্বর যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হন। এতে করে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ‘ইরাকের কসাই’ পরিচিতি পান।

সেই ইরাকের কসাই টনি ব্লেয়ার এবার গাজার অন্তর্বর্তী সরকার বা প্রশাসনের প্রধানের দায়িত্ব নিতে পারেন বলে জানিয়েছে একাধিক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম।

গত বুধবার ৮ মুসলিম নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই সময় তিনি মুসলিম নেতাদের গাজা যুদ্ধ বন্ধে ২১ দফার একটি প্রস্তাব দেন। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে হামাসের বদলে গাজায় টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন কর হবে। আর এই সরকারকে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র, আরব ও ইউরোপের দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে তৈরি একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন।

এখন শোনা যাচ্ছে এই অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রধান হতে পারেন টনি ব্লেয়ার।

সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের সাবেক এ নেতা অন্তর্বর্তী প্রশাসনের তত্ত্বাবধান বোর্ডে তাকে দায়িত্ব দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে টনি ব্লেয়ারের অলাভজনক সংস্থা ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জ এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

গত সপ্তাহে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানায় গাজা যুদ্ধ বন্ধে টনি ব্লেয়ার কাজ করছেন।

সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, টনি ব্লেয়ার গাজার মানুষকে নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদের কোনো দাবি মানবেন না।

গাজায় যে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের কথা বলা হচ্ছে সেটি পাঁচ বছরের জন্য গঠিত হবে। এরপর এটি ফিলিস্তিনি অথরিটির (পিএ) কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।

এই অন্তর্বর্তী প্রশাসনে ২৫ জনেরও বেশির একটি মন্ত্রিসভা থাকবে। এছাড়া এটির বোর্ডে সাতজন থাকবেন।

প্রথমে প্রশাসনটি মিসরে গাজা সীমান্তের কাছে কার্যক্রম শুরু করবে। এরপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গাজাতে চলে যাবেন মন্ত্রীরা।

এদিকে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাবেক প্রধান ইয়ুস্সি কোহেন বিবিসিকে বলেছেন, টনি ব্লেয়ার গাজার দায়িত্ব নেবেন এমন পরিকল্পনায় তিনি বেশ খুশি।

সূত্র: আরব নিউজ

এমটিআই