আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বেশ কয়েকটি বিকট বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। বৃহস্পতিবার রাত পেরিয়ে আজ শুক্রবার (১০ অক্টোবর) মধ্যরাতের শুরুতে এ শব্দ শোনা যায়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত কোনো বিমানের মাধ্যমে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। 

আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, সম্ভাব্য বিমান হামলার ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। 

আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি আজ এক ঐতিহাসিক সফরে ভারতে গেছেন। সেখানে তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করবেন। এরইমধ্যে দেশটির রাজধানী কাবুলে বিমান হামলার তথ্য শোনা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে দাবি করেছেন, পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান এ হামলা চালিয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দাবি করেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন পাকিস্তান তেহরিক-ই-তালেবানের (টিটিপি) ফাইটারদের পাকিস্তান সীমান্ত থেকে সরাতে আফগানিস্তান তাদের কাছে অর্থ দাবি করেছে।

জাতীয় পরিষদে বক্তব্য দেওয়ার সময় অভিযোগ করেন, টিটিপিকে  সমর্থন করে যাচ্ছে আফগানিস্তান। সঙ্গে এসব সন্ত্রাসীকে তাদের দেশে পূর্ণ নিরাপত্তা দিচ্ছে।

পাক মন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি আইএসআই মহাপরিচালককে সঙ্গে নিয়ে (২০২৩ সালে) কাবুলে গিয়েছিলাম, এবং তাদের বলেছিলাম যেন তারা টিটিপি সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা ও সমর্থন বন্ধ করে, তাদের এলাকা থেকে সরিয়ে দেয় এবং তাদের আস্তানাগুলো ভেঙে দেয়।’

তিনি আরও দাবি করেন, ‘তারা (আফগান তালিবান কর্মকর্তারা) আমাদের কাছে ১০ বিলিয়ন রুপি (প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার) চেয়েছিল, আর বলেছিল যে এই অর্ধ পেলে তারা তাদের (টিটিপি সদস্যদের) সরিয়ে দেবে। আমরা তাদের কাছে গ্যারান্টি চেয়েছিলাম– অর্থ নেওয়ার পর তারা যে আবার ফিরে আসবে না, তার কী নিশ্চয়তা আছে? তারা কোনো নিশ্চয়তা দিতে রাজি হয়নি।’

গত পরশু পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন খাওয়ায় টিটিপির সন্ত্রাসীদের হামলায় কয়েকজন কর্মকর্তাসহ ১২ সেনা নিহত হয়৷ এ ঘটনার ব্যাপারে খাজা আসিফ বলেছেন, ‘অনেক হয়েছে, আমরা আর সহ্য করব না।’ তার এমন হুমকি-ধামকির পরই মধ্যরাতে কাবুলে সম্ভাব্য বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র : টিআরটি

এমটিআই/বিআরইউ