জার্মানির প্রতি ৭টি উদ্ভাবনী কাজের একটি করছেন অভিবাসন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনোমিক রিসার্চের সর্বশেষ গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০২২ সালে জার্মানিতে নিবন্ধিত পেটেন্টের ১৪ শতাংশের সাথে বিদেশি বংশোদ্ভূতরা জড়িত। ২২ বছর আগে অর্থাৎ ২০০০ সালে এই সংখ্যা চার দশমিক ৯ শতাংশ। 

গবেষণায় দেখা গেছে, জার্মানিতে বসবাসরত পূর্ব, দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্ব ইউরোপ এবং লাতিন অ্যামেরিকান ভাষাগোষ্ঠীর ব্যক্তিরা পেটেন্টের আবেদনের সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছেন। তালিকায় এরপরে রয়েছে আরবি এবং তুর্কি ভাষার জনগোষ্ঠী। গত ২৫ বছরে এই দুই ভাষার জনগোষ্ঠীর অবদান চারগুণ বেড়েছে বলে গবেষণায় পাওয়া গেছে।

পেটেন্টের আবেদনে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অবদানও বাড়ছে। ২০০০ সাল থেকে শুরু থেকে চলতি সময় পর্যন্ত বিবেচনায় নিয়ে বলা যায়, পেটেন্টের ক্ষেত্রে এই জনগোষ্ঠীর আবেদন এক দশমিক দুই শতাংশ বেড়েছে। 

• ২০১৫ সালে আসা শরণার্থীদের ৬৪ শতাংশই কর্মরত

এদিকে ২০১৫ সালে জার্মানিতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ এই দশ বছরে নিজেদের কর্মক্ষেত্রে যুক্ত করেছেন। জার্মানির ন্যুরেমবুর্গ ইনস্টিটিউট ফর এমপ্লয়মেন্টের (আইএবি) সাম্প্রতিক এক জরিপে এই চিত্র উঠে এসেছে। 

২০১৫ সালে মূলত যুদ্ধ থেকে পালিয়ে সিরিয়ার শরণার্থীরা জার্মানিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেসময় প্রায় ১০ লাখ শরণার্থী দেশটিতে আশ্রয় নেয়।

গবেষণার ফলাফল বলছে, ওই সময়ে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের ৬৪ ভাগ কর্মক্ষেত্রে যুক্ত রয়েছেন। শরণার্থী গোষ্ঠীর কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের এই হার দেশটির সাধারণ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের হারের কাছাকাছি। জার্মানির সাধারণ মানুষের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের হার ৭০ ভাগ।

কর্মক্ষত্রে অংশগ্রহণকারী শরণার্থীদের ৯০ শতাংশ দেশটির সামাজিক সুরক্ষা খাতে অবদান রাখছেন। জার্মানির সাধারণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই অবদানের হার ৯২ ভাগ। ইনফোমাইগ্রেন্টস।

এসএস