২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলায় ধরে আনা ইসরায়েলি জিম্মিদের মধ্যে যারা ইতোমধ্যে মারা গেছে, তাদের সবার দেহ ফেরত দিতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে হামাসের হাই কমান্ড বলেছে, “আমরা নিশ্চিত করছি যে মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের সবার মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি আমরা দিয়েছিলাম, তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে। তবে এতে খানিকটা সময় লাগবে।”

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে এসেছিল হামাসের যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে শেষ পর্যন্ত হামাসের কব্জায় ছিল ৪৮ জন জিম্মি। হামাস জানিয়েছিল, এই ৪৮ জনের মধ্যে ২০ জন জীবিত আছে, বাকি ২৮ জন মারা গেছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য গত ২৯ সেপ্টেম্বর যে নতুন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা প্রস্তাব আকারে পেশ করেন ট্রাম্প, ইসরায়েল ও হামাস তা মেনে নেওয়ার পর গত ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় গাজায়। ট্রাম্পের ২০ পয়েন্ট সম্বলিত পরিকল্পরনার একটি পয়েন্টে উল্লেখ ছিল, সব জীবিত জিম্মিকে এবং মৃত জিম্মিদের সবার মরদেহ ইসরায়েলকে হস্তান্তর করবে হামাস।

হামাসের হাইকমান্ড অবশ্য আগেই জানিয়েছিল যে তারা কিছু জিম্মির মরদেহের সন্ধান হারিয়ে ফেলেছে। এর কারণ হিসেবে হাইকমান্ড বলেছিল, জিম্মিদের কবরের ব্যাপারে যারা জানতেন তাদের হত্যা করা হয়েছে এবং হামলার কারণে ওই স্থানের চিহ্ন হারিয়ে গেছে।

যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার তিন দিন পর ১৩ অক্টোবর জীবিত ২০ জন জিম্মি ও চার জন জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলকে প্রদান করে হামাস; কিন্তু মাত্র চার জন জিম্মির মরদেহ ফেরত দেওয়ায় ক্ষুব্ধ ফের গাজায় অভিযান শুরু করার হুমকি দেয় ইসরায়েল। গাজায় ত্রাণের সরবরাহও সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে এর পর আরও কয়েক জনের মরদেহ প্রদান করে হামাস। ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনাও প্রশমিত হয়।

তারপর গতকাল টেলিগ্রামে এ ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করল গোষ্ঠীটি।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

এসএমডব্লিউ