ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ। এটি ভেনেজুয়েলার কাছে যৌথ মহড়া দেবে।

বার্তাসংস্থা এএফপির সাংবাদিকরা জাহাজটিতে দেখতে পেয়েছেন। এটি এমন সময় ভেনেজুয়েলার কাছে আসল যখন যুক্তরাষ্ট্র দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বৃদ্ধির চেষ্টা করছে।

গত বৃহস্পতিবার এ জাহাজটি আসার ঘোষণা দেয় ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো সরকার। এটি দেশটির পোর্ট অব স্পেন বন্দর থেকে দেখা যাচ্ছে।

ভেনেজুয়েলায় সরাসরি হামলার পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প

ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে টানা কয়েকদিন ছোট ছোট নৌকায় হামলা চালানোর পর এবার সরাসরি ভেনেজুয়েলায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ নিয়ে তিনি এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।

গত ২৫ অক্টোবর তিনটি সামরিক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

ভেনেজুয়েলা নিয়ে মার্কিনিরা বড় ধরনের কোনো পরিকল্পনা করছে যার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে গতকাল শুক্রবার। এদিন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেটে হেগসেথ নৌবাহিনীর সবচেয়ে আধুনিক রণতরী ফোর্টকে ইউরোপ থেকে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

সিএনএন বলেছে, ভেনেজুয়েলায় কোকেইন অবকাঠামো এবং মাদক চোরাচালানের রুট লক্ষ্য করে হামলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা সিআইকে ভেনেজুয়েলার ভেতর গোপন অভিযান চালানোর অনুমতিও দিয়েছেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ভেনেজুয়েলা ব্যাপক মাদক উৎপাদন করে এবং সেগুলো তাদের দেশে পাঠায়। এই মাদকের ‘স্রোত’ বন্ধ করতে মাদকবাহী নৌকাতে হামলা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও অভিযোগ আছে সাধারণ জেলেদের নৌকা লক্ষ্য করেও অনেক সময় হামলা চালানো হয়।

সামরিক হামলার আগে কূটনৈতিক উপায়ে ভেনেজুয়েলার সঙ্গে এই সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিকোলাস মাদুরোর সরকারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।

সিএনএন জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলায় ব্যাপক হারে কোকেইন উৎপাদন করা হয় এমন কোনো তথ্য জানা যায় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে মাদক চোরাচালানের জন্য মাদুরো সরকারকে দায়ী করার চেষ্টা করছে ট্রাম্প সরকার।

সূত্র: এএফপি

এমটিআই