যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে নিষেধাজ্ঞা : ক্রেমলিন
যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সম্পর্কের উন্নয়নের পথে বাধা দিচ্ছে সর্বশেষ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র ও প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত বুধবার রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রোসনেফ্ট এবং লুকোইলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর এই প্রথম রাশিয়ার ওপর নিষেধজ্ঞা জারি করল মার্কিন প্রশাসন।
বিজ্ঞাপন
ওয়াশিংটন বলেছে, ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসান ও শান্তি স্থাপনে মস্কোর আগ্রহ-প্রতিশ্রুতিপূর্ণ মনোভাবের অভাবের কারণেই জারি করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। তবে ক্রেমলিন এ ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘অবন্ধুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ হিসেবে বিবেচনা করছে।
সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে পেসকভ বলেন, “ওয়াশিংটন সম্প্রতি আমাদের বিরুদ্ধে অবন্ধুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে সর্বশেষ মার্কিন নিষেধাজ্ঞা…তবে তার মানে এই নয় যে আমরা আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছেড়ে দেবো। আমরা নিশ্চিতভাবে তা ই করব— যা আমাদের জন্য লাভজনক হবে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখাতে চাই।”
বিজ্ঞাপন
জানুয়ারিতে ক্ষমতাগ্রহণের পর ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে পুতিনের সঙ্গে কয়েক দফায় টেলিফোনে কথা বলেছেন ট্রাম্প। পরে গত ১৫ আগস্ট এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় সেই বৈঠক।
চলতি অক্টোবরের মাঝামাঝি ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছিলেন, হাঙ্গেরিতে পুতিনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসবেন তিনি। কিন্তু পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট সেই বৈঠক বাতিল ঘোষণা করেন এবং তিনি এই ঘোষণা করার পরের দিন রোসনেফ্ট ও লুকোইলকে নিষেধাজ্ঞা দেয় মার্কিন ট্রেজারি মন্ত্রণালয়।
নিষেধাজ্ঞা জারির পর ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংলাপের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহকারী এবং রাশিয়ার বৃহত্তম সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান রাশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান কিরিল দিমিত্রেভ। রোববার ওয়াশিংটনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “রাশিয়ার অর্থনীতি বর্তমানে চাঙা অবস্থায় আছে এবং রাশিয়াকে চাপ দেওয়ার জন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলে শেষ পর্যন্ত তা কোনো কাজে আসবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে গঠনমূলক ও সম্মানজনক সংলাপই কার্যকর ফল বয়ে আনতে পারবে। এর কোনো বিকল্প নেই।”
সূত্র : আরটি
এসএমডব্লিউ