ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে আব্রাহাম চুক্তিতে
কাজাখস্তানকে ‘ব্যবহৃত মাল’ বললেন ফিলিস্তিনি নেতা
দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে মধ্য এশিয়ার মুসলিম প্রধান দেশ কাজাখস্তান। গতকাল শুক্রবার (৭ নভেম্বর) কাজাখ সরকারের পক্ষ থেকেই এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ আব্রাহাম চুক্তির যাত্রা শুরু করেন। এরমাধ্যমে মূলত ইসরায়েলের সঙ্গে আরব মুসলিম দেশগুলোর সম্পর্ক স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়। ওই বছর এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো এবং সুদান। যদিও সুদান সরকার চুক্তির আনুষ্ঠানিক অনুমোদন এখনো দেয়নি।
বিজ্ঞাপন
আরব দেশের বদলে মধ্য এশিয়ার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাজাখস্তানকে আব্রাহম চুক্তিতে যুক্ত করতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এ বিষয়টি নিয়ে চলছে সমালোচনা। কারণ কাজাখস্তানের সঙ্গে ইসরায়েলের ১৯৯০ দশক থেকেই সম্পর্ক আছে। তারা একে-অপরের সঙ্গে সবধরনের বাণিজ্য করে। ফলে নতুন করে ইসরায়েলের সঙ্গে কাজাখস্তানের যোগ দেওয়ার কিছু নেই।
ফিলিস্তিনি লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) সাবেক নেতা ও লিডারশিপ কমিটির সদস্য হানান আশরাই কাজাখস্তানকে ‘ব্যবহৃত মাল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “আবারও ইতিহাস নতুন করে লেখা এবং তথ্য বিকৃত করা হচ্ছে। কাজাখস্তান কোনো আরব দেশ নয় এবং ১৯৯০ দশক থেকেই ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে। ব্যবহৃত মাল।”
বিজ্ঞাপন
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাবেক প্রধান কেনেথ রথও আব্রাহাম চুক্তিতে কাজাখস্তানকে যুক্ত করায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সমালোচনা করেছেন। তার মতে আরব দেশগুলো ইসরায়েল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় এখন আব্রাহাম চুক্তিতে কাজাখস্তানের মতো অ-আরব দেশকে যুক্ত করতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে।
তিনি বলেন, “গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে বাধা দেওয়া সত্ত্বেও আব্রাহাম চুক্তিকে শক্তিশালী করতে, ট্রাম্প প্রশাসনকে কাজাখস্তানের মতো দূরের জায়গায় যেতে হয়েছে। যার সঙ্গে ইসরায়েলের ১৯৯২ সাল থেকে কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।“
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজায় বর্বরতা জেরে আরব দেশগুলো ইসরায়েল থেকে সম্পূর্ণভাবে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় এখন নিজেদের আবার শান্তির দূত হিসেবে পরিচয় করাতে উদগ্রীব হয়ে গেছে ইসরায়েল। এ কারণে এখন পূর্বেই সম্পর্ক থাকা কাজাখস্তানের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক গড়ার বিষয়টি সামনে আনছে তারা।
সূত্র: দ্য নিউ আরব
এমটিআই