উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের স্বাস্থ্যহানির বিষয়টি প্রতীয়মান হওয়ায় দেশটিতে উদ্বেগ দেখা ‍দিয়েছে। সম্প্রতি একটি ভিডিও ফুটেজে কিমকে দেখার পর দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন পিয়ংইয়ংয়ের এক বাসিন্দা।  

এ মাসের শুরুতে বিশ্লেষকরা জানান, ৩৭ বছর বয়সী কিমের উল্লেখ্য করার মতো স্বাস্থ্যহানি হয়েছে। অনেক ওজন কমেছে তার। এরপর দেশটির সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হলো। অথচ কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করার ঘটনা বিরল। 

দেশটির সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত সাক্ষাতকারে ওই ব্যক্তি বলেন, ‘মহামান্য সাধারণ সম্পাদককে (কিম জং উন) এভাবে দেখার পর আমাদের সবার মন ভেঙে গেছে। প্রত্যেকেই বলছেন, নেতাকে এভাবে দেখে তাদের চোখে পানি চলে আসছে।’

ওয়ার্কাস পার্টি অব কোরিয়ার শীর্ষ নেতাদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক শেষে কিম জং উন একটি কনসার্টে যোগ দেন। সেখানেই তাকে দেখেন পিয়ংইয়ংয়ের ওই বাসিন্দা। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমটি এ নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি। 

এক মাস প্রকাশ্যে না দেখা যাওয়ার পর চলতি জুনের শুরুতে কিমকে রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যমে দেখা যায়। সিউলভিত্তিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় ওইবার কঠোর বেষ্টনির মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসেন কিম। 

কিম একনায়ক হওয়ায় এবং তার উত্তরসূরি কে হবে সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না থাকার কারণে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম গোয়েন্দা সংস্থা, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বিষেশজ্ঞরা কিমের স্বাস্থ্যের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। 

গত বছরও কিমের স্বাস্থ্য নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়। গত ১৫ এপ্রিলে উত্তর কোরিয়া প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাং’র জন্মদিনের আয়োজনে কিমকে দেখা না যাওয়ায় সেই গুঞ্জন জোরালো হয়। পরে মে মাসের শুরুর দিকে অবশ্য তাকে আবার প্রকাশ্যে দেখা যায়। 

এএস