ফিলোমেনা নামক ঝড়ে স্পেনের বেশিরভাগ এলাকা ভারী তুষারে ঢাকা পড়েছে। শনিবার এই তুষারঝড় পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় দেশটির অর্ধেকের বেশি এলাকায় জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট।  

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী নজিরবিহীন এই তুষারঝড়ে সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশটির রাজধানী অঞ্চল মাদ্রিদ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আরও বিশ সেন্টিমিটার (আট ইঞ্চি) তুষারপাত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।  

আশপাশের বেশ কিছু রাস্তাসহ রাজধানী শহর মাদ্রিদের বিমানবন্ধর গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পাশের সড়কে যানবাহনগুলো আটকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। 

এমন পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি ছেড়ে কোথায় ভ্রমণ না করার জন্য দেশটির জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছে সরকারি কর্তৃপক্ষ। 

তুষারাবৃত রাস্তায় আটকে পড়া গাড়ির চালকদের উদ্ধারের সাহায্য চেয়ে দমকলবাহিনীর সদস্যদের ডাকা হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় রাস্তা পরিস্কার করার জন্য ডাকা হয়েছে সামরিক বাহিনীর সদস্যদেরও।

এমন পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি ছেড়ে কোথায় ভ্রমণ না করার জন্য দেশটির জনসাধারণকে আহ্বান জানিয়েছে সরকারি কর্তৃপক্ষ। 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী মাদ্রিদে গতদিনে যে তুষারপাত হয়েছে তা গত চল্লিশ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দেশটির আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই তুষারপাত ‘নজিরবিহীন ও ঐতিহাসিক’।  

নজিরবিহীন এই তুষারঝড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার ছবি প্রকাশ পেয়েছে গণমাধ্যমগুলোতে। তাতে দেখা যাচ্ছে, মাদ্রিদের পুয়ের্তো ডেল সোল স্কয়ারের তুষারাবৃত রাস্তা দিয়ে কষ্টে হেঁটে যাচ্ছে মানুষজন। 

সংবাদ সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাদ্রিদের জনপ্রিয় পার্কগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছে। 

প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রাজধানী শহর মাদ্রিদের প্রখ্যাত সড়ক গ্রান ভিয়ায় স্কি করছেন এক ব্যক্তি। সাধারণত এই রাস্তায় পর্যটক ও ক্রেতাদের ভীড়ে হাঁটার পথ পাওয়া যায় না। 

কানাডা রিয়াল নামে পশ্চিম ইউরোপের সর্ববৃহৎ বস্তির শহরে অনেক মানুষকে কাঠখড় পুড়িয়ে আগুন পোহাতেও দেখা যাচ্ছে— এমন ছবিও প্রকাশিত হয়েছে বেশি কিছু গণমাধ্যমে।  

তাপমাত্রার সঙ্গে সঙ্গে চলতি সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত ঠাণ্ডা আরও বাড়বে বলে জানানো হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার মাদ্রিদের তাপমাত্রা কমে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে।  

এএস