ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের কয়েট মিনিট পরেই  শ্রীবিজয়া এয়ারের একটি উড়োজাহাজ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সময় দুপুর তিনটার পর থেকে উড়োজাহাজটির আর কোনো খোঁজ মিলছে না বলে কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।   

উড়োজাহাজটি জাকার্তা থেকে বোর্নিও দ্বীপের পন্টিয়ানাকে যাচ্ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন ইন্দোনেশিয়ার যোগাযোগ ও পরিবহন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আদিতা ইরাবতী।

ফ্লাইট ট্র‍াকার ওয়েবসাইট ফ্লাইটরাডার২৪ এক টুইটে জানায়, জাকার্তা থেকে উড়াল দেওয়ার চার মিনিট পর উড়োজাহাজটি আকাশে ১০ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় অবস্থান করছিল। সেখানে এক মিনিটের কম সময় অবস্থানের পর হঠাৎ করেই সেটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

বিবিসি লিখেছে, উড্ডয়নের পর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া উড়োজাহাজটির খোঁজ পেতে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়।

জাকার্তার প্রাদেশিক দমকল বাহিনী এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, উড়োজাহাজটির খোঁজ পেতে উদ্ধার অভিযান শুরুর পর তার জাকার্তা উপসাগরে একটি ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে।

যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একটি টহল নৌকা সম্ভাব্য ‘দুর্ঘটনাস্থল’ থেকে মানবদেহের কিছু অংশ খুঁজে পেয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম কম্পাস।

ব্রিটিশসহ বেশ কিছু দেশের সংবাদমাধ্যমেও অবশ্য বলা হচ্ছে, উড্ডয়নের পরপরই নিখোঁজ হওয়া ওই উড়োহাজাহটি জাকার্তা উপসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে।

তবে ইন্দোনেশিয়া সরকারের তরফে অবশ্য এখনও বিধ্বস্ত হওয়ার খবর জানানো হয়নি। 

উড়োজাহাজটিতে ৬২ জন আরোহী ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে এক নবজাতক ও ১০ শিশুসহ ৫৬ যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু।

ইন্দোনেশিয়ার দেশীয় বিমান পরিবহন সংস্থা শ্রীবিজয়া এয়ার জানিয়েছে, তারা এখনও বোয়িং-৭৩৭ মডেলের ওই ফ্লাইটের সব তথ্য একত্রিত করার কাজ করে যাচ্ছেন।

সাম্প্রতিক কালে নিজেদের তৈরি বেশ কিছু বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর মার্কিন কোম্পানি বোয়িং বেশ সমালোচনার মুখে রয়েছে।  

প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালে শ্রীবিজয়া এয়ারের বহরে যুক্ত বোয়িং এর তৈরি ৭৩৭ মডেলের এই উড়োজাহাজ ২৬ বছর ধরে যাত্রী পরিবহন করে আসছে। 

২০১৮ সালের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের বহরে যুক্ত বোয়িং এর তৈরি ৭৩৭ ম্যাক্স সাগরে বিধ্বস্ত হলে ১৮৯ আরোহীর মৃত্যু হয়। 

এএস