উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মাথায় নিয়ন্ত্রণ হারানো ইন্দোনেশিয়ার যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি জাকার্তা উপসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির যোগাযোগমন্ত্রী। তবে হতাহতের ব্যাপারে এখনও কিছু জানানো হয়নি। 

এর আগে জাকার্তার প্রাদেশিক দমকল বাহিনী উদ্ধার হওয়া ধ্বংসাবশেষের একটি ভিডিও ফুটেজ টুইট করে জানায়, ‍উড়োজাহাজের খোঁজে উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান শুরুর পর জাকার্তা উপসাগর থেকে এই ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে তারা।

বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর শুরু হওয়া তল্লাশি অভিযানে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একটি টহল নৌকাও সম্ভাব্য ‘দুর্ঘটনাস্থল’ থেকে মানবদেহের কিছু অংশ খুঁজে পেয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছিল। 

রাজধানী জাকার্তার সোকরানো হাত্তা বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় শনিবার দুপুরে তিনটার দিকে উড্ডয়নের মাত্র চার মিনিটের মধ্যে নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকেই উড়োজাহাজটি নিখোঁজ ছিল।

জাকার্তা থেকে বোর্নিও দ্বীপের পন্টিয়ানাকের উদ্দেশে উড়াল দেওয়া ওই উড়োজাহাজে মোট ৬২ জন আরোহী ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে এক নবজাতক ও ১০ শিশুসহ ৫৬ জন যাত্রী এবং ছয়জন ক্রু সদস্য।

নিখোঁজ ওই যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের খোঁজ পেতে তাৎক্ষণিক তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার যোগাযোগ ও পরিবহন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আদিতা ইরাবতী।

ইন্দোনেশিয়ার দেশীয় বিমান পরিবহন সংস্থা শ্রীবিজয়া এয়ার জানিয়েছে, তারা এখনো তাদের ফ্লাইট এসজে-১৮২ সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছে। তবে নিখোঁজ উড়োজাহাজ নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার সময় এখনো আসেনি।

ফ্লাইটরাডার২৪ জানাচ্ছে, জাকার্তা থেকে উড়াল দেওয়ার চার মিনিট পর উড়োজাহাজটি ১০ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় অবস্থান করছিল। এক মিনিটের কম সময় অবস্থানের পর হঠাৎ সেটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

সাম্প্রতিক কালে নিজেদের তৈরি বেশ কিছু বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর মার্কিন কোম্পানি বোয়িং বেশ সমালোচনার মুখে রয়েছে।  

প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালে শ্রীবিজয়া এয়ারের বহরে যুক্ত বোয়িং এর তৈরি ৭৩৭ মডেলের এই উড়োজাহাজ ২৬ বছর ধরে যাত্রী পরিবহন করে আসছে। 

২০১৮ সালের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের বহরে যুক্ত বোয়িং এর তৈরি ৭৩৭ ম্যাক্স সাগরে বিধ্বস্ত হলে ১৮৯ আরোহীর মৃত্যু হয়। 

এএস