পাকিস্তানজুড়ে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। রাজধানী ইসলামাবাদসহ প্রধান সব শহর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পাকিস্তানজুড়ে নেমে এসেছে অন্ধকার। অবশ্য ধীরে ধীরে কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হচ্ছে।

বিবিসির রোববারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার মধ্যরাতে আচমকা বিদ্যুৎ চলে গেলে পাকিস্তানের ঘরে ঘরে নেমে আসে অন্ধকার। দেশটির গ্রাম, মফস্বল এমনকি প্রতিটি শহরে হঠাৎ দেখা দেয় উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। 

তবে দেশবাসীকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার আহ্বান জানালেও পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তার অবশ্য এটাও বলছেন যে, দেশে সম্পূর্ণরুপে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু হওয়ার জন্য আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। 

বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থায় ফ্রিকোয়েন্সি হঠাৎ অচল হয়ে যাওয়ায় দেশব্যাপী এই ব্ল্যাকআউট হয়েছে

পাকিস্তানের বিদ্যুৎমন্ত্রী ওমর আইয়ুব খান

পাকিস্তানে এ রকম বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের জন্য অনেকে প্রস্তুতও থাকে। হাসপাতালসহ জরুরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাক-আপ হিসেবে ডিজেলচালিত জেনারেটর রাখে সব সময়।  

পাকিস্তানের বিদ্যুৎমন্ত্রী ওমর আইয়ুব খান রোববার সকালে এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ‘বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থায় ফ্রিকোয়েন্সি হঠাৎ অচল হয়ে যাওয়ার কারণে দেশব্যাপী এই ব্ল্যাকআউট (বিদ্যুৎ বিপর্যয়) হয়েছে।’

বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে পাকিস্তানের রাজধানী শহর ইসলামাবাদ ছাড়াও লাহোর ও করাচির মতো বড় বড় শহরগুলো। পেশোয়ার শহর ছাড়া কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হয়েছে বলে পরে জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী। 

বিবিসি লিখেছে, পাকিস্তানের অনেক এলাকায় দিনে ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। 

তিনি আরও জানিয়েছেন, ব্ল্যাক আউটের কারণ উদঘাটনে একটি তদন্ত শুরু হয়েছে। পাকিস্তানে বিদ্যুৎ সংকট অনেক বেশি। দিনের বেশিরভাগ সময় অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ থাকে না। বিশেষ করে গ্রাম ও মফস্বল শহরে।  

বিদ্যুৎ সংকট নিরসনের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভও করেছিল দেশটির মানুষ। ২০১৩ সালে বেলুচিস্তানের একটি পাওয়ার প্লান্টে কারিগরি ত্রুটির কারণে পাকিস্তানের বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পড়ে।

এএস