ফেসবুক-টুইটার ছাড়লেন হ্যারি-মেগান
ডিউক অব সাসেক্স প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছেন। এই দম্পতির ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে এমনটই জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম সানডে টাইমস।
গেল বছরের শুরুতেই ব্রিটিশ রাজপরিবারের দায়িত্ব ত্যাগ করে স্বাধাীন জীবন যাপন শুরু করেছিলেন। প্রিন্স হ্যারিস বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছেন তার স্ত্রী ও সাবেক হলিউড তারকা মেগানকে নিয়ে।
বিজ্ঞাপন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে হ্যারি ও মেগানের এক কোটির বেশি ফলোয়ার রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে তাদের নতুন ভূমিকার অংশ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া চালানো বন্ধ করছেন।
সানডে টাইমস জানিয়েছে, তাদের নতুন আরচেওয়েল ফাউন্ডেশনের জন্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের পরিকল্পনা নেই। এমনকি ব্যক্তিগতভাবেও আর ব্যবহারের সম্ভাবনা নেই।
বিজ্ঞাপন
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিমুখতার অন্যতম কারণ হলো অব্যহত ট্রলিং। মেগানও এবিষয়ে কথা বলেছেন।
এই দম্পতি গেল মার্চে তাদের ইনস্টাগ্রাম আইডিতে সর্বশেষ পোস্ট দিয়েছিলেন। সেখানে করোনাভাইরাসে তাদের পাশে থাকার জন্য ফলোয়াদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।
গত অক্টোবরে এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৯ সালে মেগান বিশ্বের সবচেয়ে ট্রলড হয়েছেন। এ বিষয়ে মেগান নিজেও এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ২০১৯ সালের বিশ্বের সব নারী-পুরুষের মধ্যে আমি সবচেয়ে বেশি ট্রলড হয়েছিলাম। আমি এসবে পাত্তা দেই না। আপনার বয়স ১৫ বা ২৫ যাই হোক না কেন, যদি আপনাকে নিয়ে এমন কোন কথা বলা হয় যা সত্য না, তাহলে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।
প্রিন্স হ্যারি তার স্ত্রীকে সমর্থন জানিয়ে বলেছিলেন, খারাপ মন্তব্যকারী নেটিজেনরা নিজের ভুয়া নামের আড়ালে ঢেকে রাখে।
তিনি আরো বলেন, এসব সহ্য করা করোর দুর্বলতা নয় বরং তার বিপরীত।
গত বছর একই মাসে ডিউক অফ সাসেক্স বলেছিলেন, সামাজিক মাধ্যম ও ডিভাইসগুলোর নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। সামাজিক মাধ্যম আমাদের বিভ্রান্ত করছে।
গত বছর রাজপরিবার থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে এই রাজকীয় দম্পতি ব্যাপক ট্রলিংয়ের শিকার হয়েছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো যাকে ‘মেক্সিট’বলে আখ্যায়িত করে।
আগামী মার্চে প্রিন্স হ্যারিস ব্রিটেনে যেতে পারেন। রাজকীয় দায়িত্ব ত্যাগের ১২ মাস পর তিনি বাকিংহাম প্যালেস পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।
তবে এই পরিকল্পনা স্থগিত করা হতে পারে। দেশটিতে করোনার নতুন ধরন দেখা যাওয়ার পর দেশটির সাথে অনেকেই যোগাযোগ স্থগিত করেছে।
ওএফ