বরিস জনসনের জনপ্রিয়তা কমছে : জরিপ
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। ব্রিটেনের অধিকাংশ জনগণ মনে করেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি নেয়া উচিত তার।
যুক্তরাজ্যের পত্রিকা অবজার্ভারের সাম্প্রতিক দু’টি জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার জনপ্রিয়তা কমেছে ৩ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি অবজার্ভারের দ্বিতীয় জরিপের ফলাফল বিশ্লেষন করে দেখা গেছে, বরিস জনসনকে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান ব্রিটেনের ৩৭ শতাংশ মানুষ, অন্যদিকে তার অব্যাহিত চান ৪৫ শতাংশ।
২০২১ সালের নভেম্বরে প্রথম যে জরিপটি করা হয়েছিল, সেখানে দেখা গেছে- বরিসকে দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান ৪০ শতাংশ মানুষ, অন্যদিকে জনগণের ৪৩ শতাংশ মনে করেন তার পদত্যাগ করা উচিত।
বিজ্ঞাপন
প্রথম জরিপের ফলাফল বিশ্লেষনে আরো দেখা যায়, দেশের মোট কনজারভেটিভ ভোটারদের ৮৭ শতাংশ বরিস জনসনকে নেতা হিসেবে সমর্থন করেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা কায়ার স্টারমারকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান ৫২ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে দল থেকে তার অব্যহতি চান ২০ শতাংশ।
ব্রিটেনে করোনা মহামারি মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ যে দেশের অধিকাংশ মানুষকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি, তাও উঠে এসেছে প্রথম জরিপে। যুক্তরাজ্যের ৭২ শতাংশ মানুষ মনে করেন, মহামারি মোকাবেলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে সরকার সম্ভবত যথেষ্ট দ্রুততার পরিচয় দেয় নি। এদের মধ্যে ৪২ শতাংশের নিশ্চিত ধারণা, জরুরি পদক্ষেপ নিতে সরকার বিলম্ব করেছে।
যুক্তরাজ্যে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া ক্ষেত্রে জনগণের সচেতনতার চিত্রও উঠে এসেছে জরিপে। ব্রিটেনের প্রতি ৫ জনে একজন অর্থাৎ ৬৪ শতাংশ মনে করেন, দেশের এলাকাগুলোতে সংক্রমণ বেশি সে সব এলাকা দ্রুত লকডাউন তো বটেই, যেসব এলাকায় এখনো সংক্রমণ বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেনি, সে সব স্থানেও লকডাউন আরোপের চিন্তাভাবনা করা উচিত সরকারের।
অন্যদিকে ২৫ শতাংশ জনগণ মনে করেন, মহামারি মোকাবেলায় সরকার যথেষ্ট আন্তরিক এবং যদি লকডাউন শিথিল করা হয়, তাহলেও মহামারি প্রতিরোধে তা বড় আকারের নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।
দ্বিতীয় জরিপের ফল আরো বলছে, করোনা মহামারি মোকাবেলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে সন্তোষ জানিয়েছেন ৩১ শতাংশ মানুষ, অসন্তুষ্ট ৪৮ শতাংশ।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এসএমডব্লিউ