করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ ও রাত্রিকালীন কারফিউ জারির এলাকা আরও বাড়িয়েছে থাইল্যান্ড। রোববার এক সরকারি আদেশ অনুযায়ী এখন থেকে দেশের ১৩ ‍টি প্রদেশে কঠোর করোনা বিধিনিষেধ ও রাত ৯ টা থেকে ভোর ৪ টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে।

৫ লাখ ১৩ হাজার ১২০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের দেশ থাইল্যান্ডে মোট প্রদেশের সংখ্যা ৭৬টি। গত ৯ জুলাই দেশটির সরকারি কোভিড টাস্কফোর্সের মুখপাত্র আপিসামাই শ্রীরঙ্গসান বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজধানী ব্যাংককসহ ১০ প্রদেশে কঠোর করোনা বিধিনিষেধ ও রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে।

রোববার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি জানান, সংক্রমণ পরিস্থিতির কাঙ্খিত উন্নতি না হওয়ায় নতুন সরকারি আদেশে এই বিধিনিষেধের আওতায় আরও ৩ প্রদেশকে যুক্ত করা হয়েছে। এই প্রদেশসমূহ হলো চনবুরি, আয়ুথায়া ও চাচোনসাগাও। ফলে, থাইল্যান্ডে বিধিনিষেধের আওতায় থাকা প্রদেশের সংখ্যা বর্তমানে ১৩।

শ্রীরঙ্গসান বলেন, ‘বিধিনিষেধেল আওতায় থাকা প্রদেশসমূহের বাসিন্দাদের রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি, দোকানপাট বন্ধ ও মানুষের ভ্রমণ বিষয়ক বিধিনিষেধও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সাম্প্রতিক আদেশে।’

তিনি আরও জানান- সরকারি আদেশ অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যের দোকান, ওষুধের দোকান, ব্যাংক ও ইলেকট্রিক স্টোর ছাড়া দেশের সব শপিং মল, বিউটি পার্লার, স্পা-সেলুন-ম্যাসাজ সেন্টারসমূহ আগামী সোমবার থেকে বন্ধ থাকবে। এর পাশাপাশি, একসঙ্গে ৫ জনের বেশি মানুষ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং দেশবাসীকে এক প্রদেশ থেকে আরেক প্রদেশে যেতেও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

গত এপ্রিল থেকে থাইল্যান্ডে শুরু হয়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। রোববার দেশটিতে করোনায় নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৩৯৭ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ১০১ জন।

মহামারির শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত থাইল্যান্ডে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩ হাজার ৩৮৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৩৪১ জনের।

থাইল্যান্ডের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা আল জাজিরাকে জানান, করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে দেশটিতে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।

দেশের হাসপাতালসমূহ ইতোমধ্যে করোনা রোগীদের ভীড়ে উপচে উঠছে। ফলে, মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনে সরকারি পর্যায়ে যেসব পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, সেসবও ভেস্তে যেতে বসেছে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

সূত্র: আল জাজিরা

এসএমডব্লিউ