কলকাতায় পৌঁছাল টিকার সাত লাখ ডোজ
আগামী ১৬ জানুয়ারি ভারতে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। তাই দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে টিকা সরবরাহ। মঙ্গলবার প্রথম চালানে সাত লাখ টিকা পৌঁছেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায়।
মহারাষ্ট্রের পুনে থেকে কোভিডশিল্ড টিকার সাত লাখ ডোজ নিয়ে স্পাইসজেটের বিশেষ একটি কার্গো বিমান মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার ভোরে পুনে থেকে টিকাভর্তি ৩টি ট্রাক কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, গৌহাটি ও লক্ষ্মৌসহ বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রওয়ানা হয়।
বিমানবন্দরে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল ‘ইনসুলেটেড ভ্যান’। ইনসুলেটেড ভ্যানে করে কলকাতার বাগবাজারের সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরে টিকাগুলো নিয়ে রাখা হবে। সেখান থেকে তা সরবরাহ করা হবে বিভিন্ন জেলায়।
বিজ্ঞাপন
টিকা দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গে এক হাজার ৯২৮টি টিকাকেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে বলে সম্প্রতি জানান রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম।
ভারতব্যাপী করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরুর চার দিন আগে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ব্যাচের চালান বিভিন্ন গন্তব্যে পাঠানো হচ্ছে। প্রথম দফায় টিকা পাঠানো হয়েছে ১৩টি শহরে।
পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে মঙ্গলবার ভোরে করোনার টিকাভর্তি ৩টি ট্রাক কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, গৌহাটি ও লক্ষ্মৌসহ বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়।
নাম প্রকাশ না করা এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রান্স অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) জানিয়েছে, ট্রাকগুলোতে কোভিশিল্ড টিকার মোট ৪৭৮টি বাক্স রয়েছে। প্রতিটি বাক্সের ওজন ৩২ কেজি।
প্রথম ধাপে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। সবার আগে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর পর টিকা দেওয়া হবে পুলিশ ও বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের।
এনডিটিভি সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, প্রথম ধাপে ভারতে আনুমানিক ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। সবার আগে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর পর টিকা দেওয়া হবে পুলিশ ও বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের।
গত মাসে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত ও ভারতের সেরাম ইনিস্টিটিউটের তৈরি ‘কোভিডশিল্ড’ নামক কোভিড-১৯ টিকাসহ দুটি টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
এএস