কাশ্মীরসহ উত্তর ভারতে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ
ভারতের উত্তরের রাজ্যগুলোতে তাপমাত্রা ক্রমশ কমছেই। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে প্রবল শৈত্যপ্রবাহ। মাইনাসে নেমে গেছে জম্মু-কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরের তাপমাত্রা। প্রবল ঠান্ডায় কাঁপছে দিল্লি ও রাজস্থানও।
দীর্ঘ আট বছর পর বুধবার জম্মু-কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরের তাপমাত্রা মাইনাস ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। ১৯৯১ সালের মাইনাস ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পর যা সর্বনিম্ন।
বিজ্ঞাপন
প্রবল ঠান্ডার বিপর্যস্ত কাশ্মীরের বাকি এলাকাগুলোও। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম তীর্থযাত্রা অর্থাৎ অমরনাথ যাত্রা যেখান থেকে শুরু হয়, সেই পেহেলগাম অঞ্চলে মঙ্গলবারের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৫.৬ ডিগ্রি।
বুধবার তা মাইনাস ১১.৭ ডিগ্রিতে নামে। ভারতের আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যা গোটা কাশ্মীরের মধ্যে সবচেয়ে কম। কুপওয়ারা জেলাতেও মাইনাস ৫.৬ এবং অনন্তনাগে তা পৌঁছেছে মাইনাস ৯.৯ ডিগ্রিতে।
বিজ্ঞাপন
প্রবল শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে ২১ ডিসেম্বর থেকে। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে হঠাৎ তাপমাত্রার পারদ নেমে যাওয়ায় অনেক স্থানে সরবরাহ পাইপ জমে গিয়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে।
পুরু বরফের আস্তরণ পড়েছে কাশ্মীরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ ডাল লেকসহ অনেক জলাশয়ে। পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে ভারী তুষারপাতও। পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার শঙ্কা করা হচ্ছে।
তাপমাত্রা মাইনাসের কাছাকাছি মরু রাজ্য হিসেবে পরিচিত রাজস্থানে। রাজ্যের গঙ্গানগরে বুধবার তাপমাত্রা ছিল ০.২ ডিগ্রি; যা গোটা রাজ্যে সর্বনিম্ন। রাজস্থানের বেশিরভাগ এলাকাতেই এখন তাপমাত্রা পাঁচ ডিগ্রির নীচে।
বুধবার সীকর, ভীলওয়াড়া, চুরু, পিলানি, চিত্তৌরগড় ও আজমিরের তাপমাত্রা যথাক্রমে ১.৫, ১.৮, ২.২, ২.৯, ৩.৫ ও ৪.৮ ডিগ্রি। এসব এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
হিমালয়ের হিমশীতল বাতাসে প্রবল ঠান্ডা জাঁকিয়ে বসেছে দিল্লিতেও। বুধবার দিল্লির তাপমাত্রা ছিল ৩.২ ডিগ্রি। কুয়াশায় ব্যহত হয় ট্রাফিক পরিস্থিতি। আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী দুদিন এখানে শৈত্যপ্রবাহ চলবে।
এএস