২৭ কোটি ডোজ করোনা টিকা কিনছে আফ্রিকা
আফ্রিকা মহাদেশভূক্ত দেশগুলোর অধিবাসীদের জন্য চলতি বছর ২৭ কোটি ডোজ ফাইজার ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কেনা হবে।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের মাধ্যমে টিকার ডোজগুলো কেনা হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন আফ্রিকার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাপোসা।
বিজ্ঞাপন
টিকার ডোজ কেনার পর ইউনিয়নভূক্ত সবগুলো দেশে সমভাবে সেগুলো বন্টণ করা হবে নিশ্চিত করে বিবৃতিতে রামাপোসা বলেন, ‘শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ইউনিয়নের দেশগুলো পারস্পরিক সহযোগীতা ও ও সামষ্টিক প্রচেষ্টার ভিত্তিতে এই মহামারি মোকাবিলা করে আসছে। এ কারণে টিকা বিতরণের সময় কোনও দেশ যেন পেছনে পড়ে না থাকে সেদিকে মনযোগ রাখবে এইউ।’
টিকা ক্রয়ের জন্য কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে ইতোমধ্যে ‘আফ্রিকান ভ্যাকসিন অ্যাকুইজিশন টাস্ক টিম’ নামে একটি কমিটি এইউ এর উদ্যেগে করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি আফ্রিকায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। মহাদেশটির বিভিন্ন দেশে বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩০ লাখ। একক দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে সাউথ আফ্রিকা। দেশটিতে এখন প্রায় ১২ লাখ আক্রান্ত রোগী রয়েছেন।
২৭ কোটি ডোজ টিকার পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং গ্যাভি ভ্যাকসিন জোটের উদ্যোগে গঠিত কোভ্যাক্স প্রকল্পের আওতায় চলতি বছর আরো ৬০ কোটি ডোজ টিকা পেতে যাচ্ছে আফ্রিকা। এ মহাদেশের অন্তর্ভূক্ত দেশগুলোর অধিকাংশ মানুষের দারিদ্র ও স্বল্প উপার্জন বিবেচনা করে এই ডোজগুলো বরাদ্দ করেছে কোভ্যাক্স।
আফ্রিকার জনসংখ্যা বর্তমানে ১৩০ কোটি। মোট জনসংখ্যার অন্তত ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৭৮ কোটি মানুষকে চলতি বছর টিকার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়েছে এইউ। প্রত্যেকের জন্য দু’ ডোজ টিকার হিসেবে তাই চলতি বছর টিকাদান কর্মসূচিতে আফ্রিকার প্রয়োজন হবে ১৫০ কোটি ডোজ করোনা টিকা।
বিবৃতিতে রামাপোসা বলেন,‘এখন পর্যন্ত এ রোগের যে চিত্র দেখা গিয়েছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে টিকা বিতরণে যদি অনিয়ম হয়, গোটা আফ্রিকা সেক্ষেত্রে বিপদে পড়বে। মহামারি থেকে মুক্তি পেতে হলে মহাদেশের অধিকাংশ মানুষকে দ্রুত টিকার আওতায় আনা ব্যতীত আর কোনো বিকল্প আমাদের সামনে নেই।’
‘এখনো অনেকটা পথ আমাদের সামনে পড়ে আছে; কিন্তু আমরা যদি সবাই একত্রিত হয়ে, সামষ্টিকভাবে এগোই, মহামারিকে আমরা অবশ্যই পরাস্ত করতে পারব।’
সূত্র: এপি।
এসএমডব্লিউ