আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং একসময় দেশটির শান্তিপ্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেওয়া আলোচনা পরিষদের নেতা আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন তালেবানের জ্যেষ্ঠ নেতা আমির খান মুত্তাকি। মঙ্গলবার রাজধানী কাবুলের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে এই আলোচনা শুরু হয়েছে বলে খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপি।

আলোচনার সঙ্গে যুক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে কাবুলে আলোচনার এই তথ্য জানিয়েছেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় তিনি নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

এপি বলছে, তালেবানের সর্বশেষ ক্ষমতার সময় আফগানিস্তানের উচ্চ শিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন তালেবানের নেতা আমির খান মুত্তাকি। গত রোববার আফগানিস্তনের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস থেকে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির পালিয়ে যাওয়ার আগে থেকেই আফগান রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছিলেন আমির খান।

কর্মকর্তারা বলেছেন, রাজধানী কাবুলে চলমান আলোচনার উদ্দেশ্য হলো তালেবানের অন্যান্য নেতাকে নতুন সরকারে আনা। তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন বলেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক আফগান সরকার গঠন করা হবে।

এই আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আফগানরা বলেছেন, কিছু আলোচনা গভীর রাত পর্যন্ত হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরও আলোচনা চলেছে।

গত রোববার কোনও ধরনের লড়াই ছাড়া তালেবানের বিদ্রোহীরা আফগানিস্তানের রাজধানী দখলে নেয়। তালেবান কাবুলে ঢুকে পড়ার পর ওইদিন সন্ধ্যায় দেশ ছেড়ে ওমানে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। এরপর থেকে আফগানজুড়ে তালেবানের ভয়ে ভীত মানুষের দেশ ছেড়ে পালানোর মরিয়া চেষ্টা দেখা গেছে। সোমবার দেশ ছাড়তে মরিয়া হাজার হাজার মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় কাবুল বিমানবন্দরে।

এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর বিমানের ডানায় চড়ে দেশ ছাড়ার চেষ্টার সময় চলন্ত বিমান থেকে তিনজনকে মাটিতে আছড়ে পড়তে দেখা গেছে। বিমানবন্দরে হুড়োহুড়ি করে উঠতে গিয়ে অন্তত পাঁচ জনের প্রাণহানি ঘটে বলে পশ্চিমা গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়। তবে দেশটির সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ বলছে, কাবুলের বিমানবন্দরে হুড়োহুড়িতে কমপক্ষে ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

এসএস