বর্বর নির্যাতন করার পর আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায়ের কয়েকজন মানুষকে গণহত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। তালেবান যোদ্ধারা এই বর্বর নির্যাতন ও গণহত্যা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শীরা হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিয়েছেন। গত জুলাই মাসের প্রথম দিকে আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ গজনিতে এই ঘটনা ঘটেছে।

চলতি সপ্তাহে রাজধানী কাবুলসহ পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে তালেবান নিজেদের উদার ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে। তবে অ্যামনেস্টি বলছে, গত জুলাইয়ে ঘটা এই ঘটনাটি আসলে তালেবান শাসনের ‘ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত’।

আফগানিস্তানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের মধ্যে হাজারা সম্প্রদায় তৃতীয় বৃহত্তম। তারা মূলত শিয়া মুসলিম। সংখ্যাগুরু সুন্নি মুসলিম জনগোষ্ঠীর কারণে আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে তারা ‘বৈষম্য এবং নিপীড়নের’ শিকার হয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিবিসি বলছে, বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) আলোচিত ওই রিপোর্টটি প্রকাশ করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। রিপোর্টে সংস্থাটি জানায়, গত জুলাই মাসের ৪ থেকে ৬ জুলাইয়ের মধ্যে গজনি প্রদেশের মালিস্তান জেলায় সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায়ের ৯ জনকে হত্যা করা হয়।

হত্যাকাণ্ডের পর প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার এবং বেশ কিছু ছবি পর্যালোচনা করে রিপোর্টটি প্রকাশ করে সংস্থাটি। স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, ঘটনার সময় তালেবান ও সরকারি বাহিনীর যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষে তীব্রতা বাড়লে তারা পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন।

অ্যামনেস্টি বলছে, তালেবানের হাতে নিহত হাজারা সম্প্রদায়ের ৯ জনের মধ্যে ৬ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে কয়েকজনকে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া অন্য তিনজনকে অত্যাচার ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয় বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।

টিএম