কাবুলে মার্কিন দূতাবাসের সতর্কবার্তা জারি
আফগানিস্তানে মার্কিন দূতাবাস ‘নিরাপত্তা সতর্কতা’ জারি করে আমেরিকানদেরকে কাবুল বিমানবন্দরে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে। ওয়েবসাইটে দেওয়া সতর্কবার্তায় ‘বিমানবন্দরের বাইরে সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকির’ বিষয়টি উল্লেখ করেছে দূতাবাস।
এতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আমেরিকানদের পরামর্শ দিচ্ছি, আপনারা কাবুল বিমানবন্দর ভ্রমণ এবং এখন বিমানবন্দরের গেট এড়িয়ে চলুন, যদি না ব্যক্তিগতভাবে এটা করার জন্য মার্কিন সরকারের প্রতিনিধির কাছ থেকে কোনো পৃথক নির্দেশনা পান।’
বিজ্ঞাপন
‘আফগানিস্তানে অবস্থানরত যেসব মার্কিন নাগরিক এখনও প্রত্যাবাসন সহায়তা অনুরোধ ফর্ম পূরণ করেনি, তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা পূরণ করুন। ফ্লাইট সম্পর্কে বিস্তারিত বা আপডেটের জন্য কাবুলে মার্কিন দূতাবাসকে ফোন করবেন না।’
তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও রাজনৈতিক প্রধান মোল্লাহ বারাদার সরকার গঠনের লক্ষ্যে অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে কাবুলে আসার পর কাবুলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা জরি করে এমন পরামর্শ দেওয়া হলো।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরে এখনও বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে, কারণ মানুষের ভীড়ে ফ্লাইট পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে। তালেবানরা বলছে, তারা এর জন্য দায়ী নয় বরং এর জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর ভালো প্রত্যাবাসন নীতির সমালোচনা করেছে।
এদিকে আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য এখনও বহু মানুষ কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তারা এ পর্যন্ত ১৩ হাজার মানুষকে আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
তবে লোকজনের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তালেবানের বিরুদ্ধে। বলা হচ্ছে, যে সড়ক হয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হয় সেই সড়কে তালেবান কিছু তল্লাশি চৌকি স্থাপন করেছে। সশস্ত্র তালেবান নেতারা বিমানবন্দরের চারপাশে টহল দিচ্ছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কিন্তু তালেবানের একজন নেতা লোকজনকে বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি জানিয়েছেন, যাদের ভ্রমণের জন্য বৈধ কাগজপত্র নেই শুধু তাদেরকেই তারা ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
এএস