আফগানিস্তানে এ বছর নতুন করে ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হওয়ায় দেশটিতে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ৩৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

সিএনএন-এর এক অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী আফগানিস্তানে চলমান অস্থিরতার মধ্যে বিবৃতি দিয়ে এই হিসাব জানিয়ে ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, ‘আমরা এটা মনে করতে করতে পারি আরও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আফগান প্রতিবেশী দেশ বা ওই অঞ্চলের বাইরে আশ্রয় নেবে।’

ইউএনএইচসিআরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘জাতিসংঘ এসব মানুষের সবচেয়ে জরুরি চাহিদা মেটাতে, তাদেরকে সাহায্য পৌঁছে দিতে, শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে এবং সমস্ত আফগানদের অধিকার ও মর্যাদার উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

সংস্থাটি আফগান নারী ও মেয়েদের নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে রাষ্ট্র কর্তৃক আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সরকারি সেবা প্রদান যেমন ‘বৈষম্য ছাড়াই’ শিক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।  

আফগানিস্তানের এক কোটি শিশুর ‘বেঁচে থাকার জন্য মানবিক সহায়তা প্রয়োজন’ জানিয়ে তাদেরকে সাহায্যে নিরাপদ, সময়োপযোগী ও নিরপেক্ষ প্রবেশাধিকার’ নিশ্চিতে তালেবানের প্রতি ইউনিসেফের আহ্বানের একদিন পর ইউএনএইচসিআর এমন বিবৃতি দিল।

ইউনিসেফ সোমবার জানিয়েছে, ‘আনুমানিক ১০ লাখ আফগান শিশু চলতি বছরজুড়ে তীব্র অপুষ্টিতে ভুগতে পারে এবং বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে পারে। আনুমানিক ৪২ লাখ শিশু স্কুল থেকে থেকে ঝড়ে পড়েছে, যার মধ্যে ২২ লাখের বেশি হলো মেয়ে শিশু।’

এএস