শস্য রফতানিতে কর বৃদ্ধি করায় রাশিয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে ইউক্রেনের দিকে ঝুঁকছে বাংলাদেশ। দ্বিপাক্ষিক একটি চুক্তি অনুযায়ী- রাশিয়া থেকে গম আমদানির কথা থাকলেও দেশটি কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়ায় এখন ইউক্রেনের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বাংলাদেশ। কর বৃদ্ধির কারণে রাশিয়ার সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিলে এই পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে শনিবার ঢাকার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।

করোনাভাইরাস মহামারিতে অভ্যন্তরীণ খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধির লাগাম টানতে শুক্রবার রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী খাদ্যশস্য রপ্তানি কর বৃদ্ধির পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন। 

আমরা গম আমদানির জন্য ইউক্রেনের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম

একটি কূটনৈতিক চুক্তি অনুযায়ী, চলতি অর্থ বছরে বাংলাদেশে ৪ লাখ টন গম রপ্তানি করার কথা রয়েছে রাশিয়ার। তবে দেশটি এখন পর্যন্ত ঢাকায় মাত্র ২ লাখ টন রপ্তানি করেছে।

নাজমানারা খানম বলেন, এখন দেখে মনে হচ্ছে রাশিয়া বাকি গম রপ্তানি করতে পারবে না। বিশ্বে তুরস্ক এবং মিসরের পর রাশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম গম আমদানিকারক বাংলাদেশ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমেও গম আমদানি করছি। আমরা আগামী জুন থেকে স্থানীয় গম সংগ্রহ শুরু করবো। তবে এই সময়ের মধ্যে আরও ৬ লাখ টন গম আমদানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ঢাকা।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গম আমদানিকারকদের একটি বাংলাদেশ। প্রত্যেক বছর দেশে প্রায় ৬০ লাখ টন গম আমদানি করা হয়।

গত বছরের কয়েক দফার বন্যায় খাদ্যশস্যের উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ায় মজুদের পরিমাণ কমে আসছে বাংলাদেশে। এছাড়া স্থানীয় বাজারে চালের দাম রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে চাল এবং গম আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছে সরকার।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস