চেন্নাইয়ে মন্দিরে বিস্ফোরণ পরিকল্পনার দায়ে বাংলাদেশি গ্রেফতার
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার সন্ধ্যার দিকে বশিরহাটের ঘোজাডাঙ্গা এলাকা থেকে জহাঙ্গীর বিশ্বাস নামের ওই বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার ভারতীয় বার্তাসংস্থা আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উত্তর চব্বিশ পরগনার পুলিশ বলছে, শনিবার সন্ধ্যার দিকে জাহাঙ্গীর বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চেন্নাইয়ের একটি মন্দিরে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করছিলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিএসএফের ১৫৩তম ব্যাটালিয়নের সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের ঘোজাডাঙ্গা এলাকা থেকে জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে। ৮ বছর আগে ভারতে পাড়ি জমান তিনি এবং বাংলাদেশে ফেরারও পরিকল্পনা ছিল তার।
উত্তর চব্বিশ পরগনার স্থানীয় পুলিশ বলছে, বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার নওগাঁ পূর্বপাড়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর বিশ্বাস (২৬) আট বছর আগে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। এর পরে কিছু সময়ের জন্য তিনি চেন্নাইয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি একজন বেসামরিক ঠিকাদার হিসেবেও কাজ করেন।
বিজ্ঞাপন
— IANS Tweets (@ians_india) August 29, 2021
গত কিছুদিন ধরে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে আসছিল। এ সময় অন্যান্য কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তি; যারা চেন্নাইয়ের একটি মন্দিরে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করছিলেন, তাদের সঙ্গে জাহাঙ্গীরের যোগসাজশ খুঁজে পায় পুলিশ। বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য চেন্নাইভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী হিজবুত তাহরির কিছু বাংলাদেশি চরমপন্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করে দল গঠন করছে বলে তদন্তে জানতে পারে চেন্নাই।
মন্দিরে বিস্ফোরণের পরিকল্পনার এই ঘটনা সামনে আসে কয়েকদিন আগে চেন্নাইয়ে অন্য দুই বাংলাদেশিকে গ্রেফতারের পর। ওই দুই বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী জাহাঙ্গীর বিশ্বাসের নাম জানতে পারে। তদন্তকারী সংস্থা তাকে খুঁজছে জেনে জাহাঙ্গীর চেন্নাই থেকে পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাটে এসে আত্মগোপন করেন।
উত্তর চব্বিশ পরগনা পুলিশের জ্যেষ্ঠ একজন কর্মকর্তা বলেছেন, জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে আবারও ভারতে ফেরার পরিবকল্পনাও ছিল তার। ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালাতে চেয়েছিলেন তিনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, বিএসএফের সদস্যদের সতর্ক করে দেওয়া হয় এবং অবশেষে তিনি গ্রেফতার হন। বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ইতোমধ্যে এনআইএর একটি দল বশিরহাট পুলিশ স্টেশনে পৌঁছেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র: আইএএনএস।
এসএস