বাইডেনের দোভাষীকেও ফেলে গেছে যুক্তরাষ্ট্র, উদ্ধারের আকুতি
আফগানিস্তানে ২০০৮ সালে তুষার ঝড়ের কবলে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে উদ্ধারে সহায়তাকারী একজন দোভাষী দেশ ছাড়তে না পেরে আত্মগোপন করেছেন। কাবুল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া বিমান ধরতে ব্যর্থ এই দোভাষী এখন উদ্ধারের আকুতি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সেই সময় মার্কিন সিনেটর জো বাইডেন এবং অন্য দুই আইনপ্রণেতা আফগানিস্তান সফর করছিলেন। পরে তুষার ঝড়ের কবলে পড়া তাদের বহনকারী হেলিকপ্টার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবতরণে বাধ্য হয়।
বিজ্ঞাপন
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ওই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ না করে শুধু নামের প্রথম অংশ মোহাম্মদ জানিয়ে বলেছে, ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জো বাইডেন ও আইনপ্রণেতাদের উদ্ধারে কমব্যাট মিশন পরিচালনা করে। এই মিশনে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত কাজ করেন ওই দোভাষী।
জো বাইডেন, সিনিয়র সিনেটর চাক হাজেল এবং জন কেরিকে বহনকারী হেলিকপ্টারে তালেবানের হামলার তীব্র শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। পরে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ সামরিক ঘাঁটি বাগরাম থেকে সেনাবাহিনীর কুইক রিঅ্যাকশন দল তাদের উদ্ধারের জন্য পাঠানো হয়। এই দলের বিমানে করে প্রত্যন্ত ওই অঞ্চলে দোভাষী হিসেবে যান মোহাম্মদও।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনার ১৩ বছর পর তালেবান ক্ষমতা দখলে নেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র দুই সপ্তাহ ধরে যে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে; সেই সময় তিনি আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেননি, যে কারণে এখন আফগানিস্তানে আত্মগোপনে আছেন এই দোভাষী।
কাবুল থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার শেষদিন সোমবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে তিনি বলেন, ‘হ্যালো প্রেসিডেন্ট: আমাকে এবং আমার পরিবারকে বাঁচান। আমাকে এখানে ভুলে যাবেন না।’
মার্কিন এই দৈনিক বলেছে, ক্ষমতায় ফেরা তালেবানের অভিযানের ভয়ে মোহাম্মদ, তার স্ত্রী এবং চার শিশু বর্তমানে আত্মগোপনে আছেন।
মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাকে সহায়তা করতে চেয়েছিল। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘তার জন্য আমাদের বার্তা হচ্ছে, গত ২০ বছর ধরে আমাদের পাশে থেকে লড়াই করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।’
জেন সাকি বলেন, ‘আমরা আপনাকে উদ্ধার করবো। আপনার সেবাকে আমরা শ্রদ্ধা জানাবো।’
এসএস