পদত্যাগ করলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর
মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। আজ শনিবার সন্ধ্যায় তিনি রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, কংগ্রেসের হাই-কমান্ডের নির্দেশে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। পদত্যাগের পর ক্ষুব্ধ অমরিন্দর সিং বলেছেন, ‘শীর্ষ নেতৃত্ব সন্দেহের চোখে দেখায় আমি অত্যন্ত অপমানিত।’
পাঞ্জাবে নভজ্যোত সিং সিধুর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে চলমান বিবাদ সম্প্রতি প্রকট হয়। প্রায় একে অপরকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেন সিধু ও অমরিন্দর। অবশেষে ‘ক্যাপ্টেন’ অমরিন্দর সিং পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন। মুখ্যমন্ত্রিত্ব খোয়াতে হলো তাকে। উল্লেখ্য, আগামী বছরের শুরুতে বিধানসভার ভোট হবে পাঞ্জাবে।
বিজ্ঞাপন
জুলাইয়ে অমরিন্দরের আপত্তি সত্ত্বেও সিধুকে পাঞ্জাব রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি করেন সোনিয়া। শুরু হয় বিরোধ। সিধুর সমর্থক মন্ত্রী-বিধায়করা প্রকাশ্যে অমরিন্দরের পদত্যাগ চান। অন্যদিকে, সৌন্দর্যায়নের নামে ঐতিহাসিক জালিয়ানওয়ালা বাগের সংস্কার নিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনা করলেও অমরিন্দর বলেন, ওই উদ্যোগ তার ভাল লেগেছে।
কংগ্রেস সূত্রে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, দলীয় সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে শনিবার ফোনে কথা হয় অমরিন্দর সিংয়ের। তখন তাকে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানান সোনিয়া। পাল্টা অমরিন্দর সিং দল ছাড়ার হুমকি দেন। অবশ্য রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এ প্রসঙ্গে কিছুই স্পষ্ট করেননি তিনি।
বিজ্ঞাপন
তবে কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনার ইঙ্গিতও দিয়েছেন অমরিন্দর। তিনি বলেছেন, ‘দীর্ঘ ৫২ বছর রাজনীতি করছি। আমার সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলবো। তারপরই রাজনৈতিক ভবিষ্যত স্থির করবো। ভবিষ্যতের রাজনীতি সবসময়ই থাকে। আমাদের সামনে সব বিকল্পই খোলা রয়েছে। সময়ই সব বলে দেবে।’
বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেছেন, ‘আমি সকালে সভানেত্রী সোনিয়াকে ফোন করে বলেছিলাম যে, আমি ইস্তফা দিচ্ছি। গত দুই মাসে তিনবার বিধায়কদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। তারা আমার কাজ ও দায়বদ্ধতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। আমি অপমানিত। তাই ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি।’
বিধানসভা ভোটের কয়েক মাস আগে সাড়ে নয় বছর মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তিকে সরিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বিজেপিও তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বদল করেছে। এতে দলের অভ্যন্তরীণ ক্ষোভের সঙ্গে মানুষের ক্ষোভ দূর করা সম্ভব বলে মনে করা হয়। প্রশ্ন উঠছে তাহলে বিজেপির পথই অনুসরণ করলো কংগ্রেস।
এএস