আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ নানগাহারের রাজধানী জালালাবাদ ও রাজধানী কাবুলে শনিবার যে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে, তার জন্য আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস এর খোরাসান শাখা আইএস-কে কে দায়ী করেছে তালেবান। খবর এএফপির।

বার্তাসংস্থা এএফপিকে এক তালেবান মুখপাত্র এ সম্পর্কে বলেন, ‘জালালাবাদ ও কাবুলের বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং যেসব আলামত এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে, তাতে স্পষ্টভাবে বোঝা যাচ্ছে- এটি আইএস-কে জঙ্গিদের কাজ।’

ইতোমধ্যে জালালাবাদে অভিযান শুরু হয়েছে এবং বিস্ফোরণে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে উল্লেখ করে ওই মুখপাত্র বলেন, ‘নাশকাতার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত শেষ হলে তার ফলাফল দাফতারিকভাবে প্রকাশ করা হবে। দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।’

শনিবার জালালাবাদে পর পর চারটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে নিহত হয়েছেন ৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। একই দিন কাবুলের দাশত ই বারচি এলাকায়ও একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরিত হয়- তাতে অন্তত ২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো।

রাজধানী কাবুল থেকে জালালাবাদের দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। শহরটিকে আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের (ইসলামিক স্টেট) স্বর্গরাজ্য বলা হয়ে থাকে।

আফগানিস্তানে আইএসের সাম্প্রতিক ও সর্বশেষ নাশকতা ঘটেছে গত ২৬ আগস্ট, কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ওই বিমানবন্দর এলাকায় পর পর দু’টি ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছিল আইএসের খোরাসান শাখা আইএস-কে। হামলায় ১৩ মার্কিন সেনা সহ নিহত হয়েছিলেন ১৭০ জন, আহত হয়েছিলেন আরও কয়েকশ।

তালেবান ও আইএস উভয়ই কট্টরপন্থী ইসলামিগোষ্ঠী হলেও নীতি ও আদর্শগতভাবে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চরম শত্রুতা রয়েছে।

সূত্র : এএফপি, আল জাজিরা

এসএমডব্লিউ