শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কার্যকর ক্যানসিনো টিকা
ওষুধ ও টিকা উৎপাদনকারী চীনা প্রতিষ্ঠান ক্যানসিনো বায়োলজিকসের এক ডোজের করোনা টিকা ক্যানসিনো ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের দেহে পর্যাপ্ত পরিমানে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম।
সম্প্রতি ক্যানসিনো টিকার কার্যকারিতা নিয়ে একটি ছোট আকারের গবেষণা হয়েছে চীনে। ৪৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী সেই গবেষণায় অংশ নেন। স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে ১৫০ জনের বয়স ৬ থেকে ১৭-এর মধ্যে এবং বাকি ৩০০ জন ছিলেন প্রাপ্তবয়স্ক।
বিজ্ঞাপন
পূর্ববর্তী এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, এক ডোজের এই করোনা টিকার পরিপূর্ণ ডোজ শিশু ও অল্পবয়সীদের জ্বর-মাথাব্যাথ্যার ও শারীরিক অসুস্থতার ঝুঁকি তৈরি করে। তাই এই গবেষণায় ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের দেওয়া হয়েছিল স্বল্পমাত্রার ডোজ।
অন্যদিকে প্রাপ্তবয়স্কদের পরিপূর্ণ ডোজ দেওয়ার পাশাপাশি ৫৬ দিন পর দ্বিতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর দেখা গেছে, প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশু ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেহে অধিকমাত্রায় করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডির উপস্থিতি রয়েছে। সম্প্রতি এই গবেষণাটি পিআর রিভিউ পর্যায়ে আছে।
এ পর্যন্ত চীন ৭ টি করোনা টিকা তৈরি করেছে। এসবের মধ্যে ৩ টি টিকাকে জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। অনুমোদনপ্রাপ্ত টিকাগুলো হলো সিনোভ্যাক, সিনোফার্ম এবং ক্যানসিনো।
সিনোভ্যাক ও সিনোফার্ম টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন পেয়েছে। ক্যানসিনো টিকার অনুমোদনের জন্যও আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু তাতে এখনও সাড়া দেয়নি ডব্লিউএইচও।
তবে সাম্প্রতিক একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এক ডোজের এই করোনা টিকা বিভিন্ন বয়সী এবং বিশেষ করে বয়স্ক লোকজনের দেহে কার্যকর প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরিতে সক্ষম।
চীনে ইতোমধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্কদের করোনা টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে, কিন্তু টিকা নেওয়ার জন্য এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ধরা হয়েছে ১২ বছর। তারচেয়ে কমবয়সীদের জন্য উপযোগী কোনো করোনা টিকার অনুমোদন এখনও দেয়নি দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই এই গবেষণা শিশুদের টিকাদান কর্মসূচিতে একটি নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।
এসএমডব্লিউ