চোখ-মুখ-নাক ছাড়া শিশুর জন্ম, চিকিৎসক বলেছিলেন আয়ু কয়েক ঘণ্টা
সম্পূর্ণ চোখ-নাক-মুখ তৈরি হওয়ার আগেই জন্ম হয়েছিল শিশুটির। জন্মের আগ থেকেই চরম কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাকে। ট্রেচার কলিন্স সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুটির জন্মের পরই চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তার আয়ু বেশি দিন নেই। কিন্তু বাবা-মার মন তাতে সায় দেয়নি। চেষ্টা চালিয়ে গেছেন তাকে বাঁচাতে। একে একে আটটি অস্ত্রোপচারের পর অবশেষে বাবা-মায়ের কাছে ঠাঁই হয়েছে তার।
ভারতীয় গণমাধ্যম আজতাক বাংলা এক প্রতিবেদনে জানায়, ব্রাজিলের ওয়ারা দি সাও ফ্রান্সিসকো অঞ্চলের বাসিন্দা ভিটোরিয়া মার্চিওলির জন্ম খুব জটিল পরিস্থিতিতে হয়েছিল। ট্রেচার কলিন্স সিনড্রোম নিয়ে জন্ম হয় তার। এ রোগের কারণে তার মুখের ৪০টি অস্থি বিকশিত হয়নি। জন্মের সময় চোখ মুখ ও নাক পরিপূর্ণ আকার ধারণ করেনি শিশুটির। তাই চিকিৎসকদের আশঙ্কা ছিল, জন্মের পর হয়ত কয়েক ঘণ্টাই আয়ু হবে তার। সে কারণে শিশুর পরিবারকে শেষকৃত্যের আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
বিজ্ঞাপন
২ দিন পর শিশুটিকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে ১ সপ্তাহ রাখার পর পরিবারের হাতে দিয়ে দেওয়া হয় তাকে। বড়ো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্পূর্ণ মুখ নির্মাণ করতে এখনও পর্যন্ত মোট ৮টি অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। সম্প্রতি টেক্সাসে তার আরও একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে।
শিশুটির বাবা মা রোনাল্ডো ও জোসিলিন লাগাতার তাদের সন্তানকে স্বাভাবিক জীবন দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই নিজের নবম জন্মদিন উদযাপন করেছে শিশুটি। পরিবারের অক্লান্ত চেষ্টার জন্যই শিশুটি এখনও জীবিত বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
বিজ্ঞাপন
এসকেডি