ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল করলে মন্ত্রিত্ব হারান বাবুল সুপ্রিয়। এরপর সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি দলবদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন তিনি।  

এরপর এক মাস যেতে না যেতেই বিতর্ক ওঠে তৃণমূলে গুরুত্ব পাচ্ছেন না বাবুল। কারণ হিসেবে বলা হয়- ৩০ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গে যে চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সে নির্বাচনে তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম নেই বাবুল সুপ্রিয়র। এ তালিকায় বাবুল সুপ্রিয়র নাম না থাকা নিয়ে বহু রকম জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়।  

এমন অবস্থায় একটি টুইট করে নাম না থাকার একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাবুল নিজেই। টুইটে তিনি লিখেছেন- কোনো রকেট সায়েন্সের বিষয় তো নয় এটা। দয়া করে বুঝুন, আমি এখনও বিজেপি সাংসদ।। গতকালই স্পিকারকে একটি চিঠি দিয়ে কিছু সময় চেয়েছিলাম যাতে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারি নিয়ম মোতাবেক। কলকাতাতে গুছিয়ে নিতে আমাকে কিছুটা সময় দেওয়ার জন্য তৃণমূলকে ধন্যবাদ।  

প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী যত দিন বিজেপির সাংসদ পদে থাকবেন, তত দিন যে তিনি তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নামবেন না, তা এই টুইটে কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন।

তবে বাবুলের এই মন্তব্য বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাদের মতে, তৃণমূলে বাবুলের দিন কতটা সুখের হবে তা নিয়ে তর্ক রয়েছে। বিজেপিতে থাকা কালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে ভাবে বাবুল আক্রমণ করেছেন তাতে তাকে দ্রুত দলের মুখ হিসাবে মানুষের সামনে আনতে চাইছে না তৃণমূল নেতৃত্ব। 

বাবুলের মতোই উপনির্বাচনের প্রচারণা থেকে বাদ গেছে আলোচিত আরেক সাংসদ নুসরাত জাহানের নাম। তারকাদের মধ্যে নাম রয়েছে- দেব, মিমি চক্রবর্তী, রাজ চক্রবর্তীর। 

সেপ্টেম্বরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে বাবুল বলেছিলেন, বাংলার মানুষের সেবা করতে চেয়েছি সবসময়। আমি কাজ পাগল। আশা করছি দল আমাকে যে দায়িত্ব দেবে তা পালন করতে পারব। তৃণমূলে যোগ দিয়ে আমি গর্বিত।  

অন্যদিকে বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, বাবুল সুপ্রিয় স্টার। কখনও দলের হয়ে উঠতে পারেননি। তিনি যা করেন আবেগে করেন। তিনি দলে থেকেও লাভ হয়নি, চলে যাওয়ায় কোনো ক্ষতিও হবে না। 

এনএফ