সোনার বাংলা আমাদের সবচেয়ে বড় প্রেরণা : মোদি
বক্তৃতা করছেন নরেন্দ্র মোদি - সংগৃহীত ছবি
‘সোনার বাংলা আমাদের সবচেয়ে বড় প্রেরণা। ভারতের নেতৃত্ব দিতে হবে আত্মনির্ভর সোনার বাংলাকে। এই সংকল্প সাধিত না হওয়া পর্যন্ত নেতাজির মতোই থামা চলবে না।’
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে প্রকাশ, বক্তৃতার শুরুতেই ‘পূণ্যভূমি বাংলাকে প্রণাম’ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মোদি।
বিজ্ঞাপন
সাড়ে ৩২ মিনিটের ভাষণের শুরুতেই তিনি বলেন, ‘‘বাংলাই শিখিয়েছে দেশপ্রেম। সুভাষ চন্দ্র বসুর মা প্রভাবতী বসুকে আমি প্রণাম করি। যিনি নেতাজিকে জন্ম দিয়েছিলেন। আজ ওই পবিত্র দিনের ১২৫ বছর হচ্ছে। আজকের দিনেই সেই মানুষটির জন্ম হয়েছিল, যিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘আমি স্বাধীনতা চেয়ে নেব না, ছিনিয়ে নেব।’’
এ সময় ভারতের প্রতধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় ঘুরেফিরে আসে নেতাজির উদ্ধৃত। এছাড়াও বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় থেকে ঋষি অরবিন্দের নাম। ভাষণে মোদি বাংলা ভাষাও উচ্চারণ করেন একাধিক বার।
বিজ্ঞাপন
এদিকে সভায় ‘জয় শ্রী রাম’ আওয়াজ ওঠার পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তৃতা না দিয়েই মঞ্চ থেকে নেমে যান। তবে মোদি তার বক্তৃতায় এ বিষয়ে কিছু বলেননি।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে শনিবার কলকাতার শ্যামবাজার থেকে রেড রোড পর্যন্ত দীর্ঘ পদযাত্রা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কলকাতাসহ চারটি শহরকে ভারতের রাজধানী ঘোষণার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের দক্ষিণ, উত্তর, পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব— এই চারটি প্রান্তে চারটি রাজধানী করা হোক।’ মমতার প্রশ্ন, ‘দিল্লিতে কী আছে? কেন একটা জায়গায় সংসদ সীমাবদ্ধ থাকবে?
দেশটিতে চারটি রাজধানীর পাশাপাশি সংসদের অধিবেশনেরও বিকেন্দ্রীকরণ চেয়েছেন মমতা। তার দাবি, ‘ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে চারটি জায়গায় অধিবেশন হোক। আমরা সকলের জন্য বলছি। দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। ওয়ান লিডার, ওয়ান ন্যাশনের মূল্য কী আছে?’
আনন্দবাজার বলছে, মমতার বক্তব্যের মূল লক্ষ্য যে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তা স্পষ্ট। বক্তৃতায় স্বাধীনতার সময় থেকে কলকাতার গুরুত্ব তুলে ধরেন মমতা। সেই সঙ্গে দেশে নবজাগরণ, স্বাধীনতা আন্দোলনে বাংলার গৌরবময় ভূমিকার কথাও টেনে এনে কলকাতাকে ভারতের অন্যতম রাজধানী করার দাবি করেন।
নেতাজির জন্মদিনকে ‘জাতীয় ছুটি’ ঘোষণার জন্য মোদিকে চিঠি লিখে অনুরোধ করেছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। শনিবার ফের ওই দাবির পাশাপাশি নেতাজি সম্পর্কিত তথ্যও প্রকাশ্যে আনার দাবি জানান তিনি। নেতাজির জন্মদিনকে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসেবে ঘোষণা নিয়ে মমতার আপত্তি ছিল। এই দিবসকে প্রত্যাখ্যান করে তিনি নেতাজির জন্মদিনকে ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। মমতা বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম নেতাজিকে ‘দেশনায়ক’ হিসাবে আখ্যা দেন। আমরা রবীন্দ্রনাথ আর নেতাজিকে মিলিয়ে দিয়েছি।
এইচকে