গলছে বরফ, সংকট অবসানে চুক্তির দ্বারপ্রান্তে সৌদি-কাতার
তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা উপসাগরীয় অঞ্চলের কূটনৈতিক সংকটের অবসানে প্রাথমিক চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে সৌদি আরব এবং কাতার। এই সংকটের অবসানের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত উপদেষ্টা ও জামাতা জ্যারেড কুশনার উপসাগরীয় অঞ্চল সফর করেছেন। তার এই সফরের পর সৌদি এবং কাতারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে বলে বুধবার খবর দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
বুধবার রিয়াদে কুশনারের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মুহম্মদ বিন সালমানের ও দোহায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির বৈঠক হয়েছে। আলজাজিরা বলছে, এই সফরের মাধ্যমে সৌদি আরব ও ইরানের চলমান বিরোধের অবসান ঘটবে।
বিজ্ঞাপন
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, এই চুক্তির মূল বিষয় হবে কাতারের বিমান চলাচলের জন্য সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের আকাশসীমা উন্মুক্ত করে দেয়া।
মার্কিন আরেক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলছে, প্রাথমিক এই চুক্তিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসরের সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। তিন বছর আগে সৌদি আরবের নেতৃত্বে এ কয়েকটি দেশ কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করলে উপসাগরীয় অঞ্চলে নজিরবিহীন কূটনৈতিক সংকট তৈরি হয়।
বিজ্ঞাপন
২০১৭ সালের জুনে সন্ত্রাসবাদে সমর্থন এবং অর্থায়নের অভিযোগ এনে কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। জুনের শেষের দিকে কাতারের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আল-জাজিরা বন্ধ ও তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বাতিল, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নসহ ১৩ দফা শর্তের বিনিময়ে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের প্রস্তাব দেয়া হয়। যদিও শুরু থেকেই কাতার সব দাবি ও অভিযোগকে অবাস্তব এবং অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ ব্রায়েন উপসাগরীয় দেশগুলোর সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্ব দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।
সৌদি যুবরাজ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, ‘কাতারের ভাইদের সঙ্গে মিলিত হতে চায় সৌদি। আমরা আশা করছি, কাতারও একই কাজ করবে।
গত মাসে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন তিনি।
এইচএকে/এসএস