সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে এখন যে কেউ চাইলেই প্রতি মুহূর্তের ঘটনা সরাসরি সম্প্রচার করতে পারেন। প্রযুক্তি ব্যবহার করে মুহূর্তের মধ্যে ব্যাপক সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেয় এসব সামাজিক মাধ্যমের লাইভ।

কিন্তু এক ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই লাইভ এসেছে কাল হয়ে। মিসরের এক সাংবাদিক মোবাইল ফোনে লাইভ সম্প্রচার করছিলেন; সেই সময় এক চোর মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে ওই সাংবাদিকের পাশ দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে চলে যায় চোর।

তবে ওই চোরের দুর্ভাগ্যই বলতে হয়, মোবাইলটি যখন হাতে নিয়েছে সে, তখনও সেটিতে লাইভ চলছে। মোবাইল নেওয়ার পর সিগারেট টানতে টানতে চলে যায় চোর। আর সেই সময় তার চেহারা পুরোপুরি পরিষ্কার দেখা যায় লাইভে।

যার মোবাইল চুরি গেছে তার নাম মাহমুদ রাগিব। তিনি মিসরের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়োম-৭ এর একজন সাংবাদিক। চলতি সপ্তাহে দেশটিতে ভূমিকম্প আঘাত হানার পর ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে জানাতে ইয়োম-৭ এর লাইভে যুক্ত হয়েছিলেন এ সাংবাদিক।

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বলছে, ওই ঘটনার সময় লাইভ সম্প্রচারটি ২০ হাজারের বেশি মানুষ দেখছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর দর্শকদের অনেকেই চোরকে খুঁজতে শুরু করেন। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। যদিও তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে, ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ১৮ হাজারের বেশিবার শেয়ার হয়েছে। এছাড়া সেটি দেখেছেন ৭০ লাখের বেশি মানুষ।

স্থানীয় একটি গণমাধ্যম বলছে, মিসরের শুবরা আল-খাইমাহ শহরের একটি সেতুর ওপর সাংবাদিকের মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে। ওই সাংবাদিক সেতুর এক পাশ দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন আর ভূমিকম্প পরবর্তী দৃশ্য লাইভে দেখাচ্ছিলেন। এ সময় চোর মোটরসাইকেলে করে পেছন দিক থেকে এসে ফোনটি ছোঁ মেরে কেড়ে নেয়।

মোবাইলে যে লাইভ চলছে এবং ক্যামেরাও চালু আছে সে বিষয়ে চোর কিছু বুঝতে না পারায় অনেক দর্শক উপহাস করেন। ভিডিওতে চোরকে ছিনতাইয়ের পর পেছনে তাকাতে দেখা যায়। পেছন ফিরে তাকানোয় দর্শকরা তার দিকে লক্ষ্য রাখছিলেন। এ সময় অনেকে বলেন, ‘পুরো বিশ্ব আপনাকে দেখছে’! 

গত বছর আর্জেন্টিনায় সরাসরি সম্প্রচারে যাওয়ার প্রস্তুতির সময় এক সাংবাদিকের মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটে।

এসএস/জেএস