করোনাভাইরাসের টিকা রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। চাহিদা মতো টিকা সরবরাহ না করে অ্যাস্ট্রাজেনেকা পরিকল্পনা কাটছাটের ঘোষণা দেওয়ার পর এই সতর্কবাণী উচ্চারণ করল সংস্থাটি।

ইইউয়ের স্বাস্থ্য কমিশনার স্টেলা কাইরিয়াকিডস বলেছেন, নিজেদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যেকোন পদক্ষেপ নেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

উৎপাদন জটিলতার কারণে চাহিদা অনুযায়ী টিকা সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে গত সপ্তাহে ইইউ’কে জানায় অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অন্যদিকে টিকাদান কর্মসূচিতে ধীরগতির কারণে সমালোচনার শিকার হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২৭টি সদস্য দেশের সবার জন্য এই টিকা কিনেছে সংস্থাটি।

এদিকে ইইউয়ের কড়াকড়ি আরোপের এই ঘোষণা বাস্তবায়িত হলে যুক্তরাজ্যে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা রপ্তানিতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে। কারণ ইইউয়ের সদস্য দেশ বেলজিয়ামের কারখানা থেকেই যুক্তরাজ্যে টিকা সরবরাহের কথা রয়েছে ফাইজারের।

তবে যুক্তরাজ্য বলছে, টিকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ’ অব্যাহত রেখেছে তারা।

বরিস জনসন সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, ‘নির্ধারিত সময়েই আমরা টিকা হাতে পাবো এবং আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে চারটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত গ্রুপের সবাইকে প্রথম ডোজ টিকা দিতে পারবো বলে আশা করছি।’

ইইউ সদস্যভুক্ত কয়েকটি দেশে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা সরবরাহে কাটছাঁটের জন্য টিকাদান কর্মসূচি চলছে ধীরগতিতে। আর তাই মার্কিন ও জার্মান মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ারও হুমকি দিয়েছে কয়েকটি দেশ।

সোমবার টুইটারে স্বাস্থ্য কমিশনার স্টেলা কাইরিয়াকিডস বলেন, টিকা সরবরাহের বিষয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের কথায় স্বচ্ছতা ও ব্যাখ্যার স্বল্পতার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অসন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, ‘ইইউয়ের সকল সদস্য দেশ ঐক্যবদ্ধ। টিকা উৎপাদনকারী হিসেবে তাদের (অ্যাস্ট্রাজেনেকা) সামাজিক ও চুক্তিগত ভাবে কিছু দায়বদ্ধতা রয়েছে। তাদের সেগুলো পূরণ করা উচিত।’

কাইরিয়াকিডস আরও বলেন, আলোচনার সময় টিকা সরবরাহের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা উপস্থাপন করে সেটা মেনে চলার অনুরোধ করেছে ইইউ। এছাড়া আগামীকাল বুধবার অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে পরবর্তী বৈঠক হতে পারে বলেও জানান তিনি।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা অবশ্য এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।

সূত্র: বিবিসি

টিএম