যেভাবে ভারতের আত্মপ্রতিষ্ঠিত সবচেয়ে ধনী নারী তিনি
বিশ্বের অনেক ধনকুবেরের পারিবারিক উত্তরাধিকার সূত্রে ধনীদের কাতারে জায়গা করে নেওয়ার ইতিহাস রয়েছে। পারিবারিক ধনসম্পদের পরিমাণ নিজের কৃতিত্বে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলেছেন অনেকে। কিন্তু ভারতীয় এক নারী এক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় একটু আলাদা বলতেই হয়।
সম্পূর্ণভাবে একক কৃতিত্বে বিশ্বের সেরা ধনীদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের সৌন্দর্য বর্ধনকারী অনলাইন পণ্যের বিক্রেতা কোম্পানি নাইকার প্রতিষ্ঠাতা ফাল্গুনী নায়ার। শুধুমাত্র একটি স্টার্টআপের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে নিজেকে উচ্চতার শিখরে নিয়ে গেছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
এই বিউটি অ্যাপের অর্ধেক অংশীদারও ফাল্গুনী; সেই শেয়ারের মোট মূল্য ৬৫০ কোটি টাকা। শেয়ারবাজারে নাইকার শেয়ারের দামে অভূতপূর্ব উত্থান ঘটেছে। নাইকার শেয়ারের দাম ১ হাজার ১২৫ টাকা থেকে দ্বিগুণ বেড়ে ২ হাজার ২০৮ টাকা হয়েছে। ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্সের মতে, তিনি ভারতে স্বপ্রতিষ্ঠিত সবচেয়ে ধনী নারী।
২০১২ সালে নিজের ৫০তম জন্মদিনের ঠিক আগে নাইকা প্রতিষ্ঠা করেন ফাল্গুনী নায়ার। তার আগে তিনি দেশটির প্রথমসারির একটি বিনিয়োগ ব্যাংকে উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন। এর আগে দেশটির বেশিরভাগ নারীই বাড়ির পাশের দোকান থেকে যাবতীয় প্রসাধনী সামগ্রী কিনতেন এবং সেখানে বিকল্প কম থাকার কারণে তাদের সমস্যার মুখোমুখি হতে হতো।
বিজ্ঞাপন
নাইকা আসার পর প্রসাধনী সামগ্রী কেনার ধারণাই বদলে যেতে থাকে ভারতের অনেক নারীর। দেশটিতে অনলাইনে ডেমো ভিডিও দেখার পর এই জাতীয় সামগ্রী কেনার পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়।
শুধুমাত্র একটি লিপস্টিক এবং কাজল আইলাইনার দিয়ে ভারতীয়দের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে নাইকা। নতুন এই পদ্ধতি অনুসরণ করে এগিয়ে চলছে কোম্পানিটি। নায়ার বলেন, আমাদের এখনও দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হবে। ১৩০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে নারীরা ছাড়াও অনেক পুরুষই নাইকা থেকে প্রয়োজনীয় প্রসাধনী সামগ্রী কিনছেন।
ফাল্গুনী নায়ার দু’টি পারিবারিক ট্রাস্ট এবং অন্য সাতটি প্রবর্তক সংস্থার মাধ্যমে নাইকা কোম্পানির শেয়ারের মালিক। তার উচ্চশিক্ষিত মেয়ে এবং ছেলে নাইকার বিভিন্ন শাখা পরিচালনা করছে। নায়ার ভারতের স্বপ্রতিষ্ঠিত সবচেয়ে ধনী নারী হলেও দেশটির সবচেয়ে ধনী নারী হিসেবে ওপি জিন্দাল গ্রুপের প্রধান সাবিত্রী জিন্দাল নিজের স্থান ধরে রেখেছেন।
এসএস