জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমানোর চেষ্টা বহুদিন ধরেই চলছিল ভারতে। সে চেষ্টায় সফল হয়েছে ভারত। দেশটিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখন নিম্নমুখী। 

ভারতের জাতীয় পরিবার ও স্বাস্থ্য সমীক্ষার পঞ্চম দফার রিপোর্টে এ চিত্র পাওয়া কথা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। এ রিপোর্ট অনুসারে ভারতে যে এখন কেবল জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী, তা নয়, সংখ্যার হিসেবে এই প্রথম ভারতে পুরুষদের ছাড়িয়ে গেছেন নারীরা। 

রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ভারতের মানুষের উর্বরতার মাত্রা এখন ২.০। আন্তর্জাতিকভাবে এ হারের মানদণ্ড হলো ২.১, অর্থাৎ এক প্রজন্মের চলে যাওয়ার পর, পরবর্তী প্রজন্মের সেই শূন্যস্থান পূরণের জন্য উর্বরতার হার ২.১ হওয়াটাই যথেষ্ট। ভারতের ক্ষেত্রে সেটা আরও কম। অর্থাৎ, ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এখন নিম্নমুশি। ভারতের একজন নারী গড়ে দু’টি করে সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন। 

উর্বরতার এত কম হার এর আগে ভারতে দেখা যায়নি। এরসঙ্গে আরও দেখা যাচ্ছে- প্রতি হাজার পুরষে বিপরীতে ভারতে এখন নারীর সংখ্যা ১,০২০ জন। 

এদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে অল্পবয়সী নারী বা পুরুষের সংখ্যাও কমতির দিকে। তবে এ নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

বিষয়টিকে বরং এভাবে দেখা হচ্ছে- মজবুত উন্নয়নের দিকে দেশের গতি আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। আবার ভারতে জনবিস্ফোরণের যে আশঙ্কা অনেকের ছিল, আপাতত তার আশঙ্কাও নেই। 

১৯৯০ সালে ‘নিউ ইয়র্ক রিভিউ অব বুকস’এ একটি নিবন্ধে ভারতকে ‘কান্ট্রি অব মিসিং উইমেন’ বলেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি যখন এমন মন্তব্য করেছিলেন তখন ভারতে নারী-পুরুষ অনুপাত ছিল ৯২৭:১,০০০।  সেই অনুপাত এখন ১,০২০:১,০০০। অর্থাৎ ভারতকে আর ‘কান্ট্রি অব মিসিং উইমেন’বলা যাবে না।  

এনএফ