ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লির কেন্দ্রীয় এলাকা এ পি জে আব্দুল কালাম রোডে অবস্থিত ইসরায়েল দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলের ওই বিস্ফোরণে দূতাবাসের আশপাশের কয়েকটি গাড়ির কাচ ভাঙা ব্যতীত আর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

এ পি জে আব্দুল কালাম রোডের যে এলাকায় বিস্ফোরণ হয়েছে, তার ১.৪ কিলোমিটার দূরে রাইসিনা হিলসের বিজয় চকে ‘বিটিং রিট্রিট (প্রজাতন্ত্র দিবসের সমাপ্তি অনুষ্ঠান) চলছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাই নিরাপত্তার কারণে এলাকা ঘিরে বেষ্টনী তৈরি করে দিল্লি পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী (সিআইএসএফ)।

এ ঘটনার পর ভারতের কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দেশটিতে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গ্যাবি আশকেনাজির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। ইসরায়েলের দূতাবাস ও কূটনীতিকদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন জয়শঙ্কর।

এক টুইটবার্তায় এ সম্পর্কে এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘এইমাত্র ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিস্ফোরণের ব্যাপারে কথা হয়েছে। তাকে আমি বলেছি সরকার এ ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে। দূতাবাস এবং ভারতে বসবাসরত ইসরায়েলি কূটনীতিকদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং অপরাধীদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।’

সিআইএসএফ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর ভারতের সব বিমানবন্দর, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপণা ও সরকারি ভবনে ইতোমধ্যে সতর্কবার্তা পাঠিয়ে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দিল্লি পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পর প্রাথমিক যে আলামত উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে রিমোট কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত এই বোমাটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা খুব বেশি নয়।। ইসরায়েলের জিন্দাল ভবনের পাশে ফুটপাতে একটি প্লাস্টিক ব্যাগে বোমাটি রাখা ছিল।

রাজধানীর যথাযথ নিরাপত্তা বিধানে দিল্লি পুলিশ হাইকমিশনার এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাক্ষাতের পরদিনই ইসরায়েল দূতাবাসের সামনে বোমা বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটল।

বিস্ফোরণের পর থেকে দিল্লির দূতাবাস ও সরকারি আবাসিক এলাকায় কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএমডব্লিউ